অষ্টম (৮ম) শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ৩য় সপ্তাহ ২০২২আপনি কি অষ্টম (৮ম) শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমাধান ২০২২ ৩য় (তৃতীয়) সপ্তাহ ১০০% নির্ভুল অনুসন্ধান করে চলেছেন? তবে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাত অধিদপ্তর থেকেত আপনাদের তৃতীয় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে।
অষ্টম শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ৩য় সপ্তাহ ২০২২
উপরোক্ত চিত্রের মাধ্যমে আপনি দেখতে পাচ্ছেন অষ্টম শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমাধান ২০২২ এ কি কি বিষয়াবলী রয়েছে। এবার আমরা সমাধান দেখে নিই।
৮ম শ্রেণি বাংলা এসাইনমেন্ট উত্তরতৃতীয় সপ্তাহ ২০২২
ইতিমধ্যে আপনার কাঙ্খিত বাংলা এসাইনমেন্টের উত্তর সমাধান ২০২২ ৩য় (তৃতীয়) সপ্তাহ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান এখান থেকে শুরু হচ্ছে।
শিরোনাম: পাঠ্য বইয়ের সাধু ভাষারীতির রচনাকে চলিত ভাষারীতিতে রুপান্তর করা।
কাজঃ
ক) লোকশিল্পের ধারণা ও বৈশিষ্ট্য।
খ) লোকশিল্পের বিভিন্ন উপকরণ।
গ) লোকশিল্প বিলুপ্তির কারণ।
ঘ) লোকশিল্প সংরক্ষণের উপায়
class 8 2022 Assignment Bangla answer 3rd Week
৮ম শ্রেণীর ৩য় সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
বিষয়ঃ বাংলা
অ্যাসাইনমেন্টঃ ২
শিরোনামঃ ❝বাংলাদেশের লোকশিল্প বিলুপ্তির কারণ ও লোকশিল্প সংরক্ষণের উপায়❞
ক ) লোকশিল্পের ধারনা ও বৈশিষ্ট্যঃ
লোকশিল্পঃ গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষ যারা উন্নত সমাজের কাঠামোর মধ্যে বিরাজমান করে কিন্তু ভৌগোলিক অথবা সাংস্কৃতিক কারণে শিল্পের উন্নত ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে , তাদের নির্মিত এ শিল্পকে লোকশিল্প রূপে বিবেচনা করা হয় । লোকশিল্পের ক্ষেত্রে গঠনশৈলীতে বা স্টাইলে এবং গ্রামীণ লৌকিক পরিবেশের সরলতা ও স্বতঃস্ফূর্ততা শিল্পের এক প্রধান বৈশিষ্ট্য। লোকশিল্পে শিল্পীর সৃজনশীল মনের আবেগের অভিব্যক্তি যেমন থাকে , তেমনই থাকে সৃষ্টির আনন্দ । মনোরঞ্জন , লোকবিশ্বাস , আচার – অনুষ্ঠান , খেলনা এবং ব্যবহার্য বস্তু হিসাবেও তা ব্যবহৃত হয়।
লোকশিল্পের বৈশিষ্ট্যঃ
১। এই শিল্প সাধারন লোকজন চর্চা করেন ।
২। লোকশিল্প একটি সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক জীবনের শিকড় এবং জীবন ব্যবস্থা প্রতিফলিত হয়।
৩।এই শিল্প দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার উপযোগী।
৪। সাধারণ মানুষের সাংস্কৃতিক মনোভাব এই শিল্পে ফুটে ওঠে।
৫। লোকশিল্প দৃশ্যমান ও নান্দনিক।
৬। লোকশিল্পে শিল্পীর সৃজনশীল মনের আবেগের অভিব্যক্তি থাকে।
খ ) লোকশিল্পের বিভিন্ন উপকরণঃ
পুরাতন শাড়ীর কাপড় ও সুতাঃ
পুরাতন কাপড় একত্রে সেলাই করে পাতলা কাঁথা তৈরি করে তার ওপর উপর রংবেরঙের সুতো দিয়ে ডিজাইন করে যে বিশেষ সুন্দর কাঁথা তৈরি করা হয় তাকে নকশিকাঁথা বলে । এই নকশীকাঁথা তৈরীর মূল উপাদান সুতা ও পুরাতন শাড়ীর কাপড় ।
কাঠঃ
কাঠ লোকশিল্পের অতি সাধারণ একটি উপকরণ । এটির সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের পুতুল , আসবাবপত্র , নান্দনিক ভাস্কর্য , ফুলদানী , কলমদানী ইত্যাদি তৈরি করা হয় ।
মাটিঃ
মাটি হচ্ছে লোকশিল্পের সবচেয়ে সহজলভ্য উপাদান। এর সাহায্যে মাটির হাড়ি , পাতিল , সরা , সানকি , পুতুল ইত্যাদিসহ বিভিন্ন ধরনের মাটির খেলনা তৈরি করা হয় ।
পাটঃ
পাটের আঁশ দিয়ে দড়ি বানিয়ে তাতে বিনুনি পাকিয়ে হাড়ি ও বিভিন্ন পাত্র ঝুলিয়ে রাখার জন্য যে বিশেষ ধরনের ঝুলি বানানো হয় তাকে শিকা বলে । একসময় গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে শিকা দেখা যেত । পাটের আঁশ এবং এতে লাগানো রং , বিচিত্র নকশা ও কারিগরি সৌন্দর্যের নিদর্শন এই শিকা । পাট দিয়ে শুধু শিকা নয় আরও অনেক জিনিস তৈরি করা হয় ।
বাঁশ ও বেতঃ
আমাদের দেশে বাঁশ ও বেত অপ্রতুল নয় । বাঁশের নানারকম ব্যবহার ছাড়া আমাদের চলতেই পারে না । ছোটখাটো সামান্য হাতিয়ারের সাহায্যে আমাদের কারিগররা বাঁশ ও বেত দিয়ে আজকাল আধুনিক রুচির নানা ব্যবহারিক সামগ্রী তৈরি করছে যা শুধু আমাদের নিজেদের দেশেই নয় , বিদেশেও বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে । এ ছাড়া বাঁশ ও বেত শিল্পের উৎকৃষ্ট সৃজনশীল নমুনাও দেখা যায় চেয়ার , চালুনি , ডালা , কুলা , খাড়ুই , চাঁই ইত্যাদির মধ্যে ।
গ) লোকশিল্প বিলুপ্তির কারণ?
লোকশিল্প আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কিন্তু বর্তমানকালে বিলুপ্তপ্রায় । এদেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে লোকশিল্পের এক নিবিড় সম্পর্ক আছে । কিন্তু বিভিন্ন কারণে আজ গ্রামীণ লোকশিল্প বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে । নিম্নে লোকশিল্প বিলুপ্ত হবার কয়েকটি কারণ তুলে ধরা হলোঃ
১। যথাযথ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের অভাবে আমাদের গ্রামীণ লোকশিল্প বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ।
২। লোকজন গ্রামের লোকশিল্পের সামগ্রীর চেয়ে শহরের কলকারখানায় তৈরি জিনিসের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে ।
৩। আবার অনেক লোকশিল্প কারিগরের আগের মতো দক্ষতা ও শিল্পীমন নেই ৷
৪। প্লাস্টিক দ্রব্যের প্রতি আকর্ষণ । এসব কারণে লোকশিল্প ক্রমেই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ।
ঘ) লোকশিল্প সংরক্ষণের উপায়?
আমাদের সকলকে লোকশিল্প সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে সচেতন করতে হবে । লোকশিল্প চর্চা অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে যেমন :
১। লোকশিল্পের কারিগরদের যথাযথ সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে ।
২। লোকশিল্প কে যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে ।
৩। জাদুঘরে কিংবা অন্যকোন প্রদর্শনীর স্থানে লোকশিল্প সংরক্ষণ করতে হবে । সুপরিকল্পীত উপায় এবং সুরুচিপূর্ণ লোকশিল্প প্রস্তুতের দিকে মনোযোগ দিতে হবে