উপবৃত্তির জন্য আবেদন 2023 (স্কুল-কলেজ) ষষ্ঠ ও একাদশ শ্রেণির উপবৃত্তি অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম ও সময়সূচি সম্পর্কে জানুন। স্কুল-কলেজের উপবৃত্তির শিক্ষা উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন ২০২৩ আবেদন করতে চান? দরিদ্র ও মেধাবি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা যেনো অর্থের অভাবে বন্ধ না হয় সেজন্য বাংলাদেশ সরকার উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছে। উপবৃত্তি আবেদনের জন্য এখন আর সংশ্লিষ্ট অফিসে দৌড়াতে হয় না।
বরং অনলাইনেই এই আবেদন সম্পন্ন করা যায়। অনেকে উপবৃত্তির জন্য আবেদন করার অনলাইম নিয়ম জানতে গুগলের দারস্থ হন। তাই, আমাদের আজকের আয়োজনে আমরা আপনাদের জানাবো অনলাইনে উপবৃত্তি আবেদনের নিয়ম গুলো নিয়ে৷ Online (eksheba gov bd scholarship). শিক্ষাবৃত্তি ২০২৩ Eksheba.gov.bd সরকারি উপবৃত্তি অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রেশন – অনলাইনে আবেদন করুন টাকা বৃত্তির জন্য।
Online উপবৃত্তির আবেদন করার সময় যেটা মাথায় রাখতেই হবে সেটা হলো আবেদনের সময়সীমা আছে কিনা৷ অনলাইনে উপবৃত্তি আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট সময় দেয়া থাকে সরকারের পক্ষ থেকে। এই সময়ের মধ্যেই আবেদন করতে হয়। এই বছর ষষ্ঠ শ্রেণী ও একাদশ শ্রেণী পর্যন্ত উপবৃত্তির অনলাইন আবেদনের সময়সীমা ছিলো ২৭ মার্চ পর্যন্ত৷
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) প্রতিবারের মতো এবারেও কারা উপবৃত্তি পাবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠান এর আওতায় পড়বে এবং ফরম পূরণ করার নিয়মাবলী ও সময়সীমা জানিয়ে দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা কিভাবে তথ্য সমূহ নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে এন্ট্রি করবে সে বিষয়েও বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়ে তারা এ বছর তারিখ Online উপবৃত্তি আবেদনের সার্কুলার প্রকাশ করে।
আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর এই বিষয়ক কমিটি ছাত্র-ছাত্রীদের স্ব স্ব বিদ্যাপীঠের মাধ্যমে এইচএসপি-এমআইএস (HSP-MIS) এ এন্ট্রি করা তথ্য যাচাই বাছাই করবেন। যাচাই বাছাই শেষে নির্দিষ্ট সফটওয়্যার এর মাধ্যমে তথ্য সমুহ এইচএসপি-পিএমইএটি (HSP-PMEAT) তে পাঠাবেন।
এই PMEAT ই হলো প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। এই ট্রাস্টই উপবৃত্তি দিয়ে থাকে । এখানে পাঠানোর পরবর্তী নোটিশেই জানা যাবে কারা উপবৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে তাদের তালিকা। শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই বিষয় গুলো জানতে পারবে। তবে www.pmeat.gov.bd এই লিংকে প্রবেশ করেও এই বিষয়ক হালনাগাদ
তথ্য পাওয়া যাবে৷
Online উপবৃত্তির আবেদনের নিয়ম
এ বছর উপবৃত্তির জন্য আবেদনে যেসব তথ্য লাগবে তা পর্যায়ক্রমে জানিয়ে দিচ্ছি শিক্ষার্থীর ছবি: অনলাইনে উপবৃত্তির আবেদনের জন্য যে ছাত্র বা ছাত্রী আবেদন করছে, তার সদ্য তোলা ছবি লাগবে। শিক্ষার্থীর জন্মসনদ: উক্ত ছাত্র বা ছাত্রীর জন্ম সনদ লাগবে। জন্ম সনদের নম্বরটি অবশ্যই ১৭ ডিজিটের হতে হবে।
অভিভাবকের nid কার্ড: যে শিক্ষার্থী আবেদন করছে তার লিগাল অভিভাবক যে, হতে পারে তার পিতা-মাতা বা তাদের অনুপস্থিতিতে অন্য যে কেউ তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লাগবে৷ এটাও ১৭ ডিজিট হতে হবে। কোনো কারণে তা যদি ১৭ ডিজিটের কম হয় সেক্ষেত্রে পূর্বে জন্মসাল এবং কোনো কারণে তা যদি ১৭ ডিজিটের কম হয় সেক্ষেত্রে পূর্বে জন্মসাল এবং প্রয়োজনীয় শূণ্য বসিয়ে ১৭ ডিজিট বানিয়ে নিতে হবে।
Bnak অ্যাকাউন্ট: উপবৃত্তির অর্থ পাওয়ার জন্য বৈধ এবং সচল ব্যাংক একাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংকিং এর নম্বর দিতে হবে। শিক্ষার্থী যদি পিতা বা মাতার ব্যাংক একাউন্টে টাকা নিতে চায়, তবে তাদের স্ব-স্ব এনআইডি কার্ড দিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে।
Online উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন
উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য বর্তমানে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। অনলাইন আবেদন ছাড়া উপবৃত্তির ফরম নেওয়া হয় না। তাই eservice.pmeat.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
উপবৃত্তির আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম Online
উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য অবশ্যই অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। অফলাইন বা ডাকটিকিটের মাধ্যমে আবদেন এখন আর নেওয়া হয় না। নিম্নে উল্লেখিত ধাপসমূহ অনুসরণ করে খুব সহজেই উপবৃত্তির আবেদন করা সম্ভব।
- eservice.pmeat.gov.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করা থাকলে লগইন করতে হবে। নয়ত রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।
- তারপর মোবাইল ভেরিফিকেশনের অপশন আসবে। তখন মোবাইল ভেরিফিকেশন করতে হবে।
- তারপর লগইন করে নিতে হবে।
- লগইন করার পর যে আবেদন ফরম আসবে তাতে শিক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে, যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করা হয়েছে সেটিতে যেন কোনো ব্যাংকিং সেবা চালু থাকে। যেমন: বিকাশ, নগদ অথবা রকেট। সবগুলো ধাপ সম্পূর্ণ করার পর আপনার সামনে একটি ড্যাশবোর্ড আসবে যেখানে আপনি আপনার আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। স্কুলে জমা দেওয়ার সুবিধার্থে এখান থেকে আবেদনের একটি কপি আপনাকে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
Online আবেদন ফরম পূরণ করার নির্দেশনাবলি
আবেদন ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে সব তথ্য নির্ভুল দেওয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে মোবাইল নাম্বারটা যেন সঠিক হয়। একজন শিক্ষার্থী একের অধিক আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবে না বা একের অধিক নাম্বারও দিতে পারবে না।
জীবিত পিতা-মাতা থাকলে দাদা-দাদি বা অন্যরা অভিভাবক হিসাবে গণ্য হবে না। তাই তাদের তথ্য ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। তবে পিতা-মাতা জীবিত না থাকলে তাদের তথ্য ব্যবহার করা যাবে। কোনো ভুল তথ্য ব্যবহার করলে আবেদন বাতিল করে দেওয়া হতে পারে।
উপবৃত্তি পাওয়ার সময়সীমা কত?
শিক্ষার্থী যদি উপবৃত্তি পাওয়ার যোগ্য বলে গণ্য হয় তাহলে তাকে SMS দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে৷ উপবৃত্তি যদি নিশ্চিত হয় তাহলে যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করবে সে প্রতিষ্ঠানে কোনো বেতন বা ফি দিতে হবে না। আর ৪-৬ মাসের ভেতর শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত টাকা ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দিয়ে দেওয়া হবে।
উপবৃত্তি পাওয়ার যোগ্যতাঃ
- আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি প্রযোজ্য।
- যারা ইতিমধ্যে অন্য কোনো বৃত্তি পেয়ে থাকে তারা উপবৃত্তির জন্য অযোগ্য বলে গণ্য হবে।
- মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে।
- অবশ্যই Online আবেদন করতে হবে।
- আবেদন করার সময় যদি কোনো শিক্ষার্থীর ভুল তথ্য দেওয়া হয় তাহলে সে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
- উপজেলা কর্মকর্তাদের দ্বারা শিক্ষার্থীর সকল তথ্য যাচাই করা হয়। উপজেলা কর্মকর্তারা তাদের কমিটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর তালিকা ট্রাস্টে প্রেরণ করে।