৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান
৮ম (অষ্টম) শ্রেণির ২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ২য় সপ্তাহের ৬ষ্ঠ,৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২২, আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ছাত্র ও ছাত্রী বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আসা করি সবাই ভালো আছেন। বরাবরের মতো, প্রতি সপ্তাহে আপনাদের জন্য ১ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ৬ষ্ঠ,৭ম,৮ম,৯ম ও ১০ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশের পরে, আমরা অবিলম্বে ষষ্ঠ,৭ম, অষ্টম, নবম শ্রেণির উত্তর ২০২২ দিচ্ছি। আজকের পোস্টে, আমি আপনাদের ষষ্ঠ,৭ম,৮ম,৯ম ও দশম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর শেয়ার করবো। ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম ও ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ১ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট।
Covid-19 মহামারীর কারণে এবছরের জানুয়ারি মাসের শেষের চলমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত কার্যক্রম স্থগিত করা হয় এবং পরবর্তীতে নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ্যাসাইনমেন্টের কার্যক্রম চলতে থাকবে। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনার ধারা বজায় রাখার জন্য ৬ষ্ঠ,৭ম,৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের উপর এসাইনমেন্ট গ্রহন করার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে।
অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২
৮ম শ্রেণির ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ | ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ |
শ্রেণি | ৮ম (অষ্টম) |
বিষয় | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় |
সপ্তাহ | ২য় |
সাল | ২০২২ |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | www.dshe.gov.bd |
অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পেতে | https://primarypreparation.com/ |
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ প্রশ্ন
অ্যাসাইনমেন্ট ১
২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ ও মূল্যায়ন নির্দেশনা
বিষয়ঃ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
শ্রেণি : ৮ম অষ্টম
অ্যাসাইনমেন্ট ( শিরোনামসহ )
☞ আমাদের মুক্তির সংগ্রাম: সালভিত্তিক ফ্লোচার্ট প্রণয়ন এবং ৭ মার্চের ভাষণের ওপর নিজের অনুভূতি উপস্থাপন
শিখনফল/ বিষয়বস্তু:
৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মূলকথা জানব ও এর গুরুত্ব ও প্রতিক্রিয়া মূল্যায়ন করতে পারব ২৬শে মার্চের স্বাধীণতার ঘোষণা উল্লেখ করতে পারব দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ ও গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হব
অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়নের নির্দেশনা (ধাপ/পরিধি/সংকেত):
অ্যাসাইনমেন্টটি প্রণয়নের সুবিধার্থে নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে
- (ক) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের পাশাপাশি ‘সাহিত্য কণিকা’ বই থেকে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনাটি পড়। রচনায় উল্লিখিত সালগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলিসহ একটি ফ্লো চার্ট তৈরি করো।
- (খ) ‘৭ই মার্চের ভাষণে দেশের নামকরণ, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির আহবান আর স্বাধীনতার ঘোষণার ইঙ্গিত রয়েছে’- উক্তিটির ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।
- (গ) ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তুমি উপস্থিত থাকলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে তুমি কী করতে, তা নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লিখ। উক্ত অনুচ্ছেদে দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ ও গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ যেন থাকে সেটি লক্ষ রাখবে।
২০২২ সালের ৮ম শ্রেণির ২য় সপ্তাহ বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর এখান থেকে শুরু
ক) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের পাশাপাশি সাহিত্য কণিকা বই থেকে এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনাটি পড়। রচনায় উল্লিখিত সালগুলাের সাথে সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলিসহ একটি ফ্লোচার্ট তৈরি করাে।
ক) নং উত্তর:
নিম্নে রচনায় উল্লিখিত সালগুলাের সাথে সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলিসহ একটি ফ্লোচার্ট তৈরি করা হলো:

(খ) ‘৭ই মার্চের ভাষণে দেশের নামকরণ, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির আহবান আর স্বাধীনতার ঘোষণার ইঙ্গিত রয়েছে’- উক্তিটির ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।
খ) নং উত্তর:
এ ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্ব ইতিহাসে নতুন এক শিকরে পৌঁছে যায়। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতা ও গেরিলাযুদ্ধের দিক-নির্দেশনা। এর পরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ বজ্র নিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।
যুগ যুগ ধরে শোষিত- বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে রাজনৈতিক দিক-নির্দেশনার পথ ধরেই ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লাখো প্রাণের বিনিময়ে বিশ্বমানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব নিচে তুলে ধরা হলো :
১. গণতন্ত্রের ডাক :
বঙ্গবন্ধু তার ১০৯৫ তথা ১১০৮ শব্দের ভাষণে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশের শাসনতন্ত্র তৈরির আকুল আবেদন ও তীব্র আকাঙ্খা পেশ করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে ও আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। আমাদের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈরি করবো এবং এ দেশকে আমরা গড়ে তুলবো’।গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার এ ভাষণের গুরুত্ব অপরিসীম।
২. বৈষম্যের ইতিহাস উপস্থাপন :
বঙ্গবন্ধু ভাষণের প্রথম পাকিস্তান আমলের দীর্ঘ তেইশ বছরের বৈষম্যমূলক ইতিহাস তুলে ধরেন। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভক্তির মধ্য দিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হওয়ার পর থেকে পশ্চিম পাকিস্তান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ ও শাসন করতে থাকে, গড়ে ওঠে বৈষম্যের পাহাড়। সামরিক বাহিনীর তিনটি সদর দপ্তরই ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে। সেনাবাহিনীতে ৯৫ ভাগই ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি, অর্থনৈতি ক্ষেত্রে এ বৈষম্য ছিল আরও ব্যাপক।
৩. নির্যাতনের পর্ণাঙ্গ চিত্র :
বঙ্গবন্ধুর ভাষণে বাঙালি জাতির ওপর দীর্ঘ তেইশ বছরে যে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে তার চিত্র ফুটে উঠেছে। জাতির জনক তার ভাষণের তৃতীয় লাইনেই বলেন কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম রাজশাহী রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে- তিনি ভাষণে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর ২৩ বছরের শাসনামলকে বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস হিসেবে উল্লেখ করেন।
৪. সংগ্রামী চেতনার ডাক :
স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকারের দাবিতে বাঙালি জাতি যে সংগ্রামের সূচনা করে আত্মাহুতি দেয় বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে তা তুলে ধরেছেন। নানাদিক থেকে বঞ্চিত, নিপীড়িত, লাঞ্ছিত জনগণ তাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য আন্দোলন চালাতে থাকে। মৃত্যুর মুখেও নির্ভয়ে এগিয়ে যায় এবং রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। দেশকে মুক্ত করার জন্য জনগণ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালালেও পাক সামরিক বাহিনী 0গুলি চালায় নিরীহ জনগণের ওপর। তবুও সংগ্রামী জনগণ পিছপা হয়নি।
৫. বাঙালি জাতীয়তাবাদ :
বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠায় হিন্দু, মুসলমান, বাঙালি, অবাঙালি সবার কথাই বলেছেন। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে বাঙালি জাতীয়তাবাদ যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, তা আজ পর্যন্ত বিশ্বের কোনো নেতা করতে পারেনি। তিন সেদিন সমগ্র বাঙালি জাতির মধ্যে একতার জলন্ত শিখার বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন তার সম্মোহনী বক্তব্যের মাধ্যমে, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছিল।
৬. গেরিলা যুদ্ধের নির্দেশনা :
তিনি অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণকে প্রতিহত করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে যে কৌশল প্রয়োগের নির্দেশনার দিয়েছেন তা, খুবই গরুত্ববহ। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে, রাস্তাঘাট যা যা আছে আমি যদি হুকুম দেবার না পারি তোমরা বন্ধ করে দেবে, আমরা ভাতে মারব, আমরা পানিতে মারব’।
০৭ . মুক্তি সংগ্রামের ঘোষণা :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণে এই বলে মুক্তির সংগ্রাম ঘোষণা করেছিলেন যে, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তার এই নিষ্কম্প ঘোষণা বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণা দিয়েছিল। জাতির উদ্দেশ্যে এই ছিল তার যুদ্ধপূর্ব শেষ ভাষণ। তাই এতে তিনি যুদ্ধের দিকনির্দেশনা দিয়ে পস্তুতির কথা বলেছিলেন।
তখন বাঙালির হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। তাই যার যা আছে তা নিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তার এই সংগ্রাম ঘোষণায় যে পশ্চিমাদের অত্যাচার বৃদ্ধি পাবে তা তিনি ধারণা করেছিলেন। সেজন্য তৎকালীন হানাদার শাসকদের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসহযোগিতা প্রদর্শনের নির্দেশ দেন। তিনি তার অনন্য ভাষণে মুক্তিসংগ্রামের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছিলেন।
উপসংহার :
পরিশেষে বলা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ জনতার সামনে যে তেজোদ্বীপ্ত জ্বালাময়ী কাব্যিক ভাষণ দিয়েছিলেন তা বাঙালির মনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। বাঙালিকে স্বাধীনতা লাভের জন্য উন্মত্ত করেছিল্ বাংলার মানুষ বর্ণ-গোত্র ও ধর্ম ভুলে গিয়ে দেশের জন্য হাসিমুখে জীবন দিতে শপথ করেছিল।
ইউনেস্কো এ ভাষণকে পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার এর মাধুর্য, শ্রেষ্ঠত্ব ও গরুত্ব এবং বাঙালি জাতির সংগ্রামের ইতিহাস এখন পৃথিবীর নানা প্রান্তে-ছড়িয়ে বহু-ভাষী মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে।এটি এখন শুধু বাংলাদেশের নয় বরং সারা বিশ্বের সম্পদে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব সংস্থার স্বীকৃতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী গবেষণা হবে, বিশেষ করে জ্ঞানান্বেষী তরুণ সমাজের মনে এটি স্থান পাবে।
(গ) ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তুমি উপস্থিত থাকলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে তুমি কী করতে, তা নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লিখ। উক্ত অনুচ্ছেদে দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ ও গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ যেন থাকে সেটি লক্ষ রাখবে
গ) নং উত্তর:
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালিদের জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন । এ দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ( বর্তমানে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান ) লক্ষ লক্ষ জনতার স্বতঃস্ফুর্তসমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশে এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ভাষণ দেন ইতিহাস খ্যাত এ ভাষণই ৭ মার্চের দেন । ইতিহাস খ্যাত এ ভাষণই ৭ মার্চের ভাষণ।মাত্র ১৮ মিনিটের এক ভাষণ ।
বঙ্গবন্ধু তাঁর সংক্ষিপ্ত অথচ তেজস্বী ভাষণে পাকিস্তানের ২৪ বছরের রাজনীতি ও বাঙালিদের বঞ্চনা করার ইতিহাস ব্যাখ্যা, পাকিস্তান রাষ্ট্রের সঙ্গে বাঙালিদের দ্বন্দ্বের স্বরূপ উপস্থাপন, অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি বিশ্লেষণ ও বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা, সারা বাংলায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ, প্রতিরোধ সংগ্রাম শেষাবধি মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয়ার ইঙ্গিত, শত্রুর মোকাবেলায় গেরিলা যুদ্ধের কৌশল অবলম্বন, যে কোন উস্কানির মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার পরামর্শদান ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরার পর ঘোষণা করেন:
“ ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল । তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে । এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম , এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম । “
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একজন দক্ষ কৌসুলির সুনিপুন বক্তব্য উপস্থাপন। এ ভাষণ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা ।
১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ আমি রোসেকোর্স ময়দানে উপস্থিত থাকলে আমি বঙ্গবন্ধুর সম্পূর্ণ ভাষণ মন দিয়ে শুনতাম এবং আমিও তাঁর নির্দেশ মতো স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তাম । নিজের দেশ ও মাতৃভূমি কে রক্ষা করার জন্য নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও পাক সেনাদের এ দেশ ত্যাগ করার জন্য বাধ্য করতাম এবং মুক্তবাহিনীতে যোগদান করতাম ।