প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ আর বেশি দেরি নেই । তাই যাদের কম পড়া হইছে বা যারা কাজের মধ্যে থেকে পড়াশোনা করেন তারা এই টপিকগুলো যত দ্রুত সম্ভব পড়ে ফেলুন । সাধারনত এগুলোর বাইরে প্রশ্ন হয় না তাই দেরি না করে এই সংক্ষিপ্ত টপিকগুলো পড়ুন ।
◼️ প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে জেনে নিন –
✓ নারী প্রার্থীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা বহাল থাকবে । ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা ও বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিষয়ে পাস প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। যদি ২০ শতাংশ কোটা পূরণ না হয়, তবে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে।
✓ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় উপজেলাভিত্তিক সৃষ্ট শূন্যপদের বিপরীতে অর্থাৎ আপনার উপজেলার বাহিরের কেউ আপনার উপজেলায় নিয়োগ পাবে না। আপনি প্রতিযোগিতা করবেন আপনার উপজেলার সকল মেধাবী পরীক্ষার্থীদের সাথে । বিশেষ করে মেয়েদের অন্যান্য যেকোনো চাকুরির পরীক্ষার চেয়ে এখানে সুযোগটা বেশি ।
✓ গত নিয়োগে মেয়েদের ন্যূনতম যোগ্যতা HSC থাকার কারনে প্রায় ২৪ লাখ আবেদন জমা পরছিল। তবে অনেকে নামে মাত্রই আবেদন করেছে। আগামী সার্কুলারে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা ডিগ্রী পাস করা হয়েছে। সুতরাং তুলনামূলক কম আবেদন জমা পরবে ।
✓ কোনোরকম কোটা ছাড়া যারা আছেন তাদেরও হতাশ হবার কিছু নেই। কারণ পরে অনেক কোটাই খালি থাকে, যেখানে পরবর্তীতে মেধাবীরা (সাধারন) নিয়োগ পায়। কোটা নিয়ে একদম মাথা ঘামাবেন না। কোটা নিয়ে মাথা ঘামালে পড়াশোনার উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
✓ গতবার হাজার হাজার সাধারন পরীক্ষার্থী কোটার কারনে আবেদন করেনি কিংবা আবেদন করলেও শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে যায়নি। তবে তারা বুঝতে পারছে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে কি ভুল করছে, কিন্ত বুঝলে কি হবে ততক্ষণে চুড়ান্ত রেজাল্ট হয়ে গেছে।
✓ সর্বশেষে,প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের উপর অনেকের কাছেই একটা নেগেটিভ ধারণা আছে, টাকা, মামা খালু ছাড়া চাকুরী হবে না। হ্যা পূর্বে এটা বিদ্যমান ছিল, কিন্তু গত নিয়োগে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন ছাড়াই অধিকাংশ মেধাবী শিক্ষক হয়েছে।
গণিত –
প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার গণিত বিষয়ে একদম ব্যাসিক MCQ আসে যারা টিউশুনি করেন তারা সহজেই পারবেন । শুধু একটু চর্চা করতে থাকবেন । যারা টিউশুনি করেন না তাদের করতে হবে । মনে রাখবেন সারাদিন পড়ার দরকার নেই যা করবেন একটু বুঝে করবেন । একদম অবিকল কমন পাবার আশা করবেন না । নিয়ম শিখবেন তাহলে এমনিতেই পারবেন ।
অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে বাংলা তুলনামূলক কঠিন । কারন বাংলা বিষয়ের টপিক বেশি আর এগুলো শেষ করতেও বেশি সময় লাগে তাই যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে বাংলা পড়তে হয় । সময় থাকতে বংলা বিষয়েটি ভালো করে পড়ে ফেলবেন । সাধারণত নিচের উল্লেখিত অধ্যায় থেকে বেশি বেশি প্রশ্ন হয় সেজন্য এই কয়টা অধ্যায় থেকে শতভাগ কমন পাবেন, এর বাইরে প্রশ্ন হবে না ।
১. লিঙ্গ
২. কাল
৩. ভাষা
৪. উপসর্গ
৫. এককথায় প্রকাশ
৬. কারক ও বিভক্তি
৭. সমাস
৮. অনুসর্গ
৯. বানান শুদ্ধি
১০. সন্ধি বিচ্ছেদ
১১. সমার্থক শব্দ
১২. বিপরীত শব্দ
১৩. বাগধারা
১৪. ণত্ব ও ষত্ব বিধা
১৫. প্রকৃতি ও প্রত্যয়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর /কাজী নজরুল ইসলাম সহ গুরুত্বপুর্ণ সকল সাহিত্যিক ও লেখক
সাধারণ জ্ঞান
Important MCQ
Part – 01
১। বাংলাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা কখন থেকে চালু হয়.?
— ১ জানুয়ারি, ১৯৯২
২। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা আইন জারি হয় কোন সালে.?
— ১৯৭৪ সালে।
৩। কতজন সদস্যের সমন্বয়ে আকরাম খান শিক্ষা কমিটি গঠিত হয়.?
— ১৭ জন।
৪। বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা কমিশন কোনটি.?
— কুদরাত- এ – খুদা শিক্ষা কমিশন।
৫। প্রাথমিক শিক্ষার বয়সসীমা–
— ৬ থেকে ১১ বছর।
৬। বর্তমানে বাংলাদেশে শিক্ষিতের হার কত.?
— ৭১%
৭। প্রাথমিক স্কুলে ৬০% বা আরো অধিক হারে মহিলা শিক্ষক নিয়োগের পক্ষে প্রধান যুক্তি কোনটি.?
— মহিলারা শিশুদের প্রতি বেশি স্নেহশীল।
৮। বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কুলে বছরে কত ঘণ্টা পড়ানো হয়.?
— ৫৪৪ ঘন্টা।
৯। প্রাথমিক শিক্ষা (বাধ্যতামূলক) আইন কোন সালে পাস হয়.?
— ১৯৯০ সালে।
১০। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার প্রধান সমস্যা কোনটি.?
— ছাত্র-ছাত্রীদের
ঝরে পড়া।
১১। প্রাথমিক স্থরে ধর্ম বই পড়ানো হয় কোন শ্রেণী থেকে.?
— ৩য় শ্রেণী থেকে।
১২। সর্বশেষ প্রতিষ্টিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কোনটি…?
— ময়মনসিংহ।
১৩। এইচ এস সি ও আলিম পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হয় কবে থেকে.?
— ২০০৩ সালে।
১৪। এস এস সি পরীক্ষা কবে থেকে লেটার গ্রেডিং পদ্ধতিতে আনা হয়েছে.?
— ২০০১ সালে।
১৫। বাংলাদেশ ‘কারিগরি শিক্ষা বোর্ড’ চালু হয় কবে.?
— ১৯৫৪ সালে।
১৬। প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি কার্যক্রম চালু হয় কবে.?
— ২০০২ সালে।
১৭। বর্তমান শিক্ষার কয়টি ধারা প্রচলিত আছে.?
— ৩ টি।
১৮। জাতীয় শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সংক্ষিপ্ত নাম কি.?
— NAEM
১৯। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত.?
— গাজীপুর।
২০। বর্তমানে বাংলাদেশে পি টি আই (PTI) মোট কয়টি.?
— মোট ৫৮ টি। এর মধ্যে ৫৬টি সরকারি এবং ২টি বেসরকারি।