নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা; বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহম্মেদ বলেছেন, এরকম একটি ভূয়া ভিত্তিহীন মামলায় কারো শাস্তি হওয়ার কথা না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনে খালেদাজিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মানহানির একটি মামলায় হাজিরা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আদালত যদি দেখে আসামীর বিরুদ্ধে কোন এভিডেন্স নেই তখন আপিল শুনানি সাপেক্ষ আসামীর জামিন দিতে পারে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় দুই বছর হলেও খালেদাজিয়ার জামিন হয়নি। আমি মনে করি আদালতে সরকারের প্রভাব এত বেশি যে বিচারকরা ঠিতমত কাজ করতে পারছেনা।
এর আগে তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক নীলুফর শিরিন এর আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল হক, অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ।
আদালতে বিএনপির খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারিয়ার রিজভী জজ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাদাত কবীর রুবেল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক খন্দকার ফশিয়ার রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান সানীসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাদীপক্ষে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, পিপি অ্যাডভোকেট ইমদাদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্ত্তী ।
উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের সভাপতি এমএ হালিমের বিরুদ্ধে নড়াইলে মামলা দায়ের হয়েছে। নড়াইল সদর আমলি আদালতে হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলাটি করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফ কামরুজ্জামান কামাল।