৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের পরিচিতি
তথ্যঃ
সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ নিয়ে পরীক্ষার জন্য যেসব প্রশ্ন সাধারণত আসে, এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেয়া হলাে-
যুদ্ধক্ষেত্রে অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগের নিদর্শন স্থাপনকারী যােদ্ধার গীকৃতিস্বরূপ বীরশ্রেষ্ঠ পদক দেয়া হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ সাতজন মুক্তিযােদ্ধাকে এই পদক দেয়া হয়েছে।
বীরশ্রেষ্ঠ বীরত্বের জন্য প্রদত্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক বা রাষ্ট্রীয় সম্মাননা আৱ বীর প্রতীক হলাে সর্বনিম্ন সামরিক পদক বা রাষ্ট্রীয় সম্মাননা।
গুরুত্বের ক্রমানুসারে বীরত্বের জন্য প্রদত্ত বাংলাদেশের ৪টি সামরিক পদক হলাে-
১। বীরশ্রেষ্ঠ
২। বীর উত্তম
৩। বীর বিক্রম
৪। বীর প্রতীক।
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গেজেটের একটি অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই পদকপ্রাপ্তদের নাম রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘােষণা করা হয়।
সাতজন বীরশ্রেষ্ঠর নামের তালিকা নিচে দেয়া হলাে
১. সিপাহী মােস্তফা কামাল
২. সিপাহী হামিদুর রহমান
৩. ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান
৪. ইঞ্জিনরুম আর্টিফিশার রুহুল আমিন
৫. ল্যান্স নায়েক নূর মােহাম্মদ শেখ
৬. ল্যান্স নায়েক মুন্সী আবদুর রউফ
৭. ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর।
সাত জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম ও পদবি :
১. বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মােহাম্মদ মােস্তফা কামালের পদবি ছিল- সিপাহী
২. বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের পদবি ছিল- সিপাহী
৩.বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের পদবি ছিল- ক্যাপ্টেন
৪.বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের পদবি ছিল- ল্যান্স নায়েক
৫.বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ নূর মােহাম্মদ শেখ – ল্যান্স নায়েক
৬. বীরশ্রেষ্ঠ মােহাম্মদ রুহুল আমিন- ইঞ্জিনরুম আর্টিফিশার
৭. বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের পদবি ছিল- ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট
প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে সেনাবাহিনীর কতজন ছিলেন?
উত্তর: ৩ জন। যথা:
১. সিপাহী মােস্তফা কামাল,
২. সিপাহী হামিদুর রহমান ও
৩. ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর।
প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রেজিমেন্ট) তথা বিজিবি-এর কতজন ছিলেন?
উত্তর: ২ জন। যথা:
১. ল্যান্স নায়েক নূর মােহাম্মদ শেখ ও
২. ল্যান্স নায়েক মুন্সী আবদুর রউফ
প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে নৌবাহিনীর কতজন ছিলেন?
উত্তর: ১ জন; ইঞ্জিনরুম আর্টিফিশার রুহুল আমিন।
প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে বিমান বাহিনীর কতজন ছিলেন?
উত্তর: ১ জন; ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান।
প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠ ইঞ্জিনরুম আর্টিফিশার রুহুল আমিন কোন গানবােটে করে যুদ্ধ করার সময় শহীদ হন?
উত্তর: পলাশ।
প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন কত নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন?
উত্তর: ২ নং সেক্টর ও নৌবাহিনী। (দৈনিক প্রথম আলাে, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭)
প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান কোন বিমানটি ছিনিয়ে আনতে গিয়ে শহীদ হন?
উত্তর: টি-৩৩। ‘টি-৩৩’ বিমানটির ছদ্মনাম ছিল- ব্লু বার্ড।
প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে প্রথম শহিদ হন কে?
উত্তরঃ মুন্সি আবদুর রউফ
ব্যাখ্যা: সঠিক উত্তর- বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে প্রথম শহিদ হন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ। তিনি ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল তারিখে শহিদ হন। কিন্তু প্রচলিত কিছু বইয়ে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মােস্তফা কামালের শাহাদাতবরণের তারিখ ৮ এপ্রিল ১৯৭১ সাল দেয়া। এটা ভুল তথ্য।
(জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়া এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www. molwa . gov . bd এর তথ্যমতে, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ শহিদ হন ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল তারিখে এবং বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মােস্তফা কামাল শহিদ হন ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল তারিখে।)
প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে সর্বশেষ মৃত্যুবরণ করেন কে?
উত্তর: বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর (১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১)।
প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ কে ছিলেন?
উত্তর: বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান।
প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানের কবর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে। তবে, ২০০৭ সালের পূর্বে তার কবরস্থান ছিল ত্রিপুরার আমবাসা গ্রামে। ২০০৭ সালে তাঁর কবর বাংলাদেশে আনা হয়।
প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের কবর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ছােট সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে ।
প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের কবর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: খুলনার রূপসা নদীর পাড়ে। ( দৈনিক প্রথম আলাে, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭)
প্রশ্ন: বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: তাঁর কবর ছিল পাকিস্তানের করাচির মাসরুর বিমানঘাঁটিতে, কিন্তু ২০০৬ সালে তাঁর কবর বাংলাদেশে আনা হয় এবং মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে কবর দেয়া হয়।