শ্রীলঙ্কায় হিজাব পরে স্কুলে যাওয়ায় ১১ জন মুসলিম শিক্ষিকাকে খ্রিস্টান স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।মঙ্গলবার দেশটির পুওয়াকপিতিয়া তামিল মহাবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে আরব নিউজ।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে,মঙ্গবার হিজাব পরে ওই শিক্ষিকারা স্কুল চত্বরে উপস্থিত হলে স্কুলের উন্নয়ন বিষয়ক সোসাইটির অভিভাবক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদেরকে স্কুলে প্রবেশে বাধা দেয়।ওই শিক্ষিকাদেরকে বলা হয়, তারা যদি শুধু শাড়ি পরে আসেন তাহলেই তাদেরকে স্কুলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে অন্যথায় নয়। এ নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।পরে ওই শিক্ষিকাদের অন্য একটি স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়।
ফাতিমা সাফিনা নামে একজন শিক্ষিকা বলেছেন,তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে এতে তারা চরম অপমান বোধ করছেন।তিনি ওই স্কুলে ৬ বছরের বেশি সময় শিক্ষকতা করছেন।
তিনি বলেন, হিজাব হলো আমার ইসলাম ধর্মীয় রীতির পোশাক। তারা এটা পরিবর্তন করে শাড়ি পরতে বলতে পারে না। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।খবর আরব নিউজের।
ফাতিমা আফ্রা নামে আরেকজন শিক্ষিকা বলেন, তিনি এবং অন্য মুসলিম শিক্ষকদেরকে ওই স্কুল চত্বর থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ও অন্য সহকর্মীরা মিলে তাদেরকে বের করে দিয়েছে। এই বিব্রতকর অবস্থায় তারা আর সেখানে ফিরে যান নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় গভর্নর আজাথ স্যালি বলেছেন, ওই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি ওই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বলেন, ওই শিক্ষিকাদের পোশাক যথাযথ ছিল, সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে তারা পোশাক পরেছিলেন। সরকার শুধু মুখে নিকাব নিষিদ্ধ করেছে। আবায়া ও হিজাব গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠিতে রয়েছে।