বাংলাদেশের মতো ভারতেও চলছে ছেলেধরা আতঙ্ক। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জোড়া গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে ভারতের আলিপুরদুয়ারে।
সোমবার ভোরে ছেলেধরা সন্দেহে পূর্ব ভোলাডাবরি এলাকায় এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে রাতে বাদলনগরে এক বৃদ্ধাকে মারধর করা হয়। দু’জনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
আলিপুরদুয়ারে ছেলেধরা সন্দেহে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। এলাকায় রীতিমতো মাইকিং করে চলছে প্রচার। কিন্তু পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না।
সোমবার ভোরে আলিপুরদুয়ার পূর্ব ভোলডাবরি এলাকায় এক অপরিচিত ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের।
এরপর ছেলেধরা সন্দেহে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধেই শুরু হয় গণপিটুনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আক্রান্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে তিনি বিহারের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তবে বিহার থেকে কীভাবে আলিপুরদুয়ারে এলেন তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
রোববার রাতে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের বাদলনগর এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত ১১টার দিকে টয়লেটে যাওয়ার সময় এক মধ্যবয়স্ক নারীকে দেখতে পান স্থানীয় এক গৃহবধূ। তার চিৎকারে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন। ছেলেধরা সন্দেহে যথারীতি ওই নারীকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন তারা। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছেন, ওই নারীর নাম শশী সরকার। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের বাসিন্দা তিনি। তবে বাড়িতে না থেকে আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান এই নারী।
আলিপুরদুয়ারে গত কয়েকদিন ধরেই ছেলেধরার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। গত মঙ্গলবারই গণপিটুনির ঘটনায় রীতিমতো রণক্ষেত্রে চেহারা নিয়েছিল আলিপুরদুয়ার শহর। আক্রান্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গিয়ে জনগণের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে পুলিশ কর্মকর্তাদের। ভাঙচুর চালানো হয়েছে পুলিশের গাড়িতেও। পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।