‘সরকারের ঘনিষ্ঠরা ১০ মিনিটেই টেস্ট করতে পারছে’

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা;  নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, করোনা কবে যাবে তা কেউ বলতে পারছে না। খোদ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাই বলতে পারছে না। অথচ সরকারের কাছে এর গুরুত্ব নেই। সরকার লকডাউন তুলে নিয়েছে। সরকারের মনোভাব এমন যে, করোনায় মারা যাক মানুষ তবুও দুর্ভিক্ষ না হোক। লোকজন আক্রান্ত হয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতলে ঘুরছে। ভর্তি হতে না পেরে মারা যাচ্ছে। তবে সরকারের ঘনিষ্ঠ যারা তারা ১০ মিনিটে টেস্ট করতে পারছে ‘, যোগ করেন মান্না।

  • আজ শনিবার (১৩ জুন ২০২০)  ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের উদ্যোগে ‘করোনা উত্তরণে নাগরিক ভাবনা ও আমাদের ভবিষ্যৎ‘ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মান্না এসব কথা বলেন। সভায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ করোনা আক্রান্তদের রোগমুক্তি কামনা এবং এই মহামারিতে যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

এতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সংসদ সদস্য যারা আছেন তাদের নিজ এলাকায় চিকিৎসা নেওয়ার নির্দেশ দিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিজ নিজ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে হবে। এভাবে নিয়ম করলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হবে।’ তিনি বলেন, ‘শিকদার গ্রুপ, সংসদ সদস্য পাপলুসহ বড় বড় দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে করোনা ফান্ড তৈরি করতে হবে।’

  • এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ‘আমেরিকায় প্রতিবাদ করা যায়। কিন্তু দেশে অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তার লাশ কোথায় পড়ে থাকবে তা কেউ জানে না। আজকে মানুষ এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটছে ভর্তি হতে পারছে না। কেউ ভর্তি হতে পারলেও অক্সিজেন পাচ্ছেন না।’

ডাকসুর ভিপি নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, ‘দেশে আজকে সমস্যা স্বাস্থ্য খাতের না, সব জায়গায়। তেলবাজ, চাটুকারদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানোর কারণে কোনো কাজ হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি দেড় বছর ধরে পাসপোর্ট পাচ্ছি না। দেশে কোনো বিচার নাই।’

আমাদের বাণী ডট কম/১৩ জুন ২০২০/ডিএ 

Check Also

দেশে এখন ভয়াবহ অবস্থা বিরাজমান: ডা. জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশে এখন ভয়াবহ অবস্থা বিরাজমান। কভিড-১৯ …