স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. সামছুল আলম মিলন দিবসে শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর পক্ষ থেকে আজ বুধবার সকাল ৮:১৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন ডা. মিলনের সমাধীতে এবং সকাল ৮-৪৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন ডা. মিলন স্মৃতি স্তম্ভ (নিঝুম)-এ পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে।
পুষ্পমাল্য অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, কেন্দ্রীয় পাঠচক্রের সদস্য আবদুর রাজ্জাক, আহসান হাবিব বুলবুল, আবু নাঈম খান বিপ্লব প্রমুখ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণকালে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, আজ ২৭ নভেম্বর ডা. সামছুল আলম খান মিলনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন সামরিক জান্তার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদী মৃত্যুবরণ করেন ডাঃ মিলন। ডা. মিলনের শহীদী আত্মদানের মাধ্যমে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন বেগবান হয় এবং ৬ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরচারী এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। কিন্তু স্বৈরাচারের পতন হলেও দীর্ঘ ২৯ বছরেও মিলন হত্যার সুষ্ঠু বিচার হয়নি, গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হয়নি। মিলনের প্রকৃত খুনীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি।
কমরেড খালেকুজ্জামান আরো বলেন, মিলন ছিলেন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী। ফলে যারা তাঁর সেই অঙ্গীকার এবং স্বপ্নকে সামনে রেখে এখনও চলমান আছেন, সেই অঙ্গীকারে এখনও সৎ থেকে সংগ্রামে আছেন তাদেরকে আমি অভিনন্দন জানাই এবং এই লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়েই ডা. মিলনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন সম্ভব হবে। আর তার সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে যে শক্তি জনগণকর্তৃক পরাস্ত শক্তিকে পুনর্বাসন করে ঐ শক্তিকে ক্ষমতাচ্যুত করা ছাড়া, ঐ শক্তিকে পরাস্ত করা ছাড়া এদের প্রতি সত্যিকারের সম্মান প্রদর্শন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাও সম্ভন না; তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করাও সম্ভব না।
কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, আমি আপনাদের সেই পথে এগিয়ে আসার জন্য যারা এখানে অপেক্ষা করছেন এবং সারাদেশে মিলনকে স্মরণ করছেন তাদের সবাইকে আমি আমার সশ্রদ্ধ অভিবাদন জানিয়ে এখানে শেষ করছি।