আসন্ন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনকে ঘিরে চলছে প্রার্থীদের নানা ধরনের প্রচারনা ও আনাগোনা। প্রার্থীরা নেতাকর্মীদের সহযোগীতা লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নিরলস।
পদ প্রত্যাশীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বহাল থাকার কারনে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম নিষ্ক্রিয় ও স্থবির হয়ে পড়েছে।
এদিকে বর্তমান রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব স্কুল কমিটি নিয়ে ব্যাস্ত ও সাধারন সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বিয়ে করেছেন এবং আওয়ামীলীগ মনোনয়নে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বিচিত হয়েছেন। তাই তিনারাও চাচ্ছেন নতুনদের মাঝে নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিতে।
ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৪ সালের ৭ মে । তৎকালিন ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম ঐই দিন হাবিবুর রহমান হাবিবকে সভাপতি ওবং মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে সাধরন সম্পাদক করে ১ বছরের জন্য রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন করেন এবং ৭ জুন ১২১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।
কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছর অতিক্রান্ত হবার পরও নতুন কমিটি না হওয়াই হতাশ ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশীরা।
বর্তমানে কেন্দ্র থেকে জেলার সম্মেলনের বিষয়ে সবুজ সংকেত পেয়ে মাঠ চোষে বেড়াতে আরাম্ভ করে দিয়েছে নতুন পদ প্রত্যাশীরা।
পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন তারা হলেন,
বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
হাসিনুর ইসলাম সজল।
বর্তমান কমিটির দপ্তর সম্পাদক
হুমায়ন কবির বাবু।
সবেক কমিটির স্কুল- ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক
নাসিম মোফাজ্জেল।
বর্তামানে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য
খালিদ হাসান হৃদয়।
বর্তমানে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক সুজন আলী
বর্তামান জেলা কমিটির আপ্যায়ন সম্পাদক
মারুফ হাসান প্রান্ত।
রাজশাহী কলেজে ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম।
মাসুদ রানা।
রাজশাহী কলেজে অধ্যায়নরত
মোস্তাফিজুর রহমান সাগর প্রমুখ।
এছাড়াও সাধারন ছাত্রলীগের কর্মীদের অভিযোগ মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট আছে তারাও জেলার মুল পদে আসার জন্য দৌড় ঝাপ শুরু করে দিয়েছে।
আমাদের বাণী/আ-আ-মা