গ্রাম বললেই ফসলের খেত, কাঁচা রাস্তা, মাটির বাড়ির এমন ছবিই ভেসে ওঠে। কিন্তু বিশ্বে এমনও কিছু গ্রাম আছে, যেগুলো অত্যাধুনিক লাইফস্টাইল এবং সব রকম সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে অনেক বড় বড় শহরকেও পেছনে ফেলে দেবে। এমনই একটি গ্রাম চিনের জিয়াংসু প্রদেশের হুয়াক্সি। এই গ্রামের সবাই কোটিপতি।
গ্রামের প্রতিটি ঘরের আকার এবং নকশা একই রকমের। বাইরে থেকে দেখে মনে হবে হাজারো হোটেল সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এটাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গ্রাম বলে দাবি করা হয়। এটি ‘সুপার ভিলেজ’ নামেও পরিচিত। ১৯৬১ সালে গড়ে ওঠে গ্রামটি।
স্থানীয়দের মতে, খেত-খামার, কাঁচা বাড়ি, রাস্তাÑ প্রথম দিকে আর পাঁচটা গ্রামের মতোই ছিল হুয়াক্সি। কিন্তু গ্রামটি আধুনিক রূপ পায় কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সেক্রেটারি উরেনবাওয়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টায়। হুয়াক্সিকে সোশালিস্ট গ্রামের তকমা দিয়েছেন গ্রামবাসীই।
এক সময় যারা চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, এখন তারা সবাই কোটিপতি। গ্রামের প্রতিটি বাসিন্দার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে কমপক্ষে ১০ লাখ ইউয়ান (প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা)। এই গ্রামে সব মিলিয়ে ২ হাজার জনের বাস। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই গ্রামের প্রত্যেক বাসিন্দাকে বিলাসবহুল ঘর, গাড়ি এবং জীবনযাপনের সব রকম সুবিধা দেয়া হয়। গ্রামটি এত সমৃদ্ধ যে, এখানে ৭২ তলা বহুতল রয়েছে। আছে শপিং মল এবং অত্যাধুনিক থিম পার্ক। শুধু তাই নয়, চাইলে হেলিকপ্টার পরিষেবাও সহজেই পাওয়া সম্ভব। নিয়মের দিক থেকে বেশ কড়াকড়ি রয়েছে হুয়াক্সিতে।
এখানে সপ্তাহে সাত দিনই কাজ করতে হয় গ্রামবাসীর। কোনো ছুটি নেই। শুধু তাই নয়, গ্রামে জুয়া, মাদক এসব নিষিদ্ধ। গ্রামের আরো একটি বৈশিষ্ট্য হলো, কেউ যদি একবার এই গ্রাম ছেড়ে চলে যান, তা হলেৎতার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেয় প্রশাসন।