বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ ১৪ নেতার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে পুলিশের করা বিভিন্ন মামলায় সুপ্রিম কোটের্র আপিল বিভাগের রায় বিচারিক আদালত, ঢাকার সিএমএম আদালতে পৌঁছেছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার ৫০মিনিটে দিকে বিচারিক আদালতে রায়ের এ অনুলিপি পৌঁছায়। বিষয়টি ঢাকার সিএমএম কোর্টের নেজাওত শাখা থেকে জানানো হয়।
এ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় প্রকাশের পর তা বিচারিক আদালতে পৌঁছালে এবং তা রিসিভ করার দুই সপ্তাহের মধ্যে বিএনপি নেতাদের আত্মসমর্পণ করার জন্য বলা হয়েছিল রায়ে। সে হিসেবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ ১৪ নেতার আত্মসমর্পণের দিন গণণা শুরু হয়েছে আজ (বুধবার) বিকেল থেকে।
এর আগে ৩১ জনকে হাইকোর্টের দেয়া আগাম জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে বেশকিছু পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনাসহ ওই রায় ঘোষণা করেছিলেন আপিল বিভাগ।
প্রকাশিত রায়ে হাইকোর্টকে কেবল ব্যতিক্রমী মামলার ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে আগাম জামিন বিবেচনা করতে বলা হয়। বিশেষ করে হত্যা ও ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে। এ ছাড়া মামলার চার্জশিট হলে আগাম জামিন আর কার্যকর থাকবে না এবং আগাম জামিনের কোনো অপব্যবহার হলে সে জামিন বাতিল হয়ে যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগ।
সেই সঙ্গে যে কোনো মামলায় কাউকে ৮ সপ্তাহের বেশি আগাম জামিন দেয়া যাবে না বলেও নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছিলেন। পরে বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর ওই রায়ের ৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
যে নেতাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে তারা হলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মঞ্জুর মোরশেদ, বরকতউল্লা বুলু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মো. শাহজাহান, অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন, হাজি সালাহউদ্দিন ও মো. আমিনুর রহমান (এখানে ১৬ জন রয়েছেন, এর মধ্যে দুজনকে আত্মসমর্পণ করতে হবে না। তবে এ দুজনের নাম এখনও জানা যায়নি)।
তবে এই নেতারা যদি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আইন ও তথ্য অনুসারে জামিনের জন্য তাদের প্রার্থনা বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতকে বলা হয়েছে।