বারােভূঁইয়া
তথ্যঃ
বারাে ভূইয়া বলতে মূলত বারােজন ভূইয়াকে বােঝায় না।
বরং, মুঘল শাসনামলে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে যে অসংখ্য বড় বড় জমিদার মুঘলদের আনুগত্য মেনে না নিয়ে স্বাধীনভাবে নিজেদের রাজ্য পরিচালনা করত, এই বড় বড় জমিদারদের একত্রে ‘বারাে ভূঁইয়া’ বলা হয়।
বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাধীন জমিpদাররা মুঘল শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।
বারাে ভূঁইয়াদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিলেন নারায়ণগঞ্জের ঈসা খাঁ.
ঈসা খা মসনদ-ই-আলা প্রতিষ্ঠিত ভাটির রাজ্যের রাজধানী ছিল সােনারগাঁ ।
অর্থাৎ, ঈসা খাঁ-এর রাজধানী ছিল নারায়ণগঞ্জের সােনারগা।
সােনারগাঁও এর প্রাচীন নাম ছিল তথা পূর্বনাম ছিল সুবর্ণগ্রাম।
বারােভূঁইয়াদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ঈসা খাঁ, বাহাদুর গাজী, কেদার রায় প্রমুখ।
কিন্তু ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে মােঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে তার সুবেদার ইসলাম খান বারােভূইয়াদের পরাজিত করাে পুরাে বাংলায় মােঘল শাসন মজবুত করেন।
প্রশ্ন: বারােভূইয়া কাদের বােঝায়?
উঃ মুঘল শাসনের বিরুদ্ধে যে বারােজন ভূইয়া বাংলায় লড়াই করেছিলেন, তাঁদের বারাে ভূইয়া বলা হয়।
তবে কারাে কারাে মতে, বারাে ভূইয়া বলতে বারােজন ভূইয়াকে বােঝায় না বরং অসংখ্যকে বােঝায়।
প্রশ্ন: বাংলার বারােভূইয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ভূইয়া কে ছিলেন?
উঃ ঈসা খাঁ।
প্রশ্ন: ঈসা খাঁর রাজধানী ছিল কোথায়?
উঃ সােনারগাঁও ।
প্রশ্ন: বারােভূঁইয়াদের পরাজিত করেন কোন মােঘল সম্রাটের শাসনামলে?
উঃ সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে।
প্রশ্ন: বারােভূঁইয়াদের পরাজিত করেন কে?
উঃ মােঘল সুবেদার ইসলাম খান।
নোট মোস্তাফিজার মোস্তাক