বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত উক্তি ও প্রবক্তা
📒রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১। ‘আজি হতে শত বর্ষে পরে কে তুমি পড়িছ, বসি আমার কবিতাটিখানি কৌতূহল ভরে।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২। ‘সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করনি। (বঙ্গমাতা)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুররবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩। ‘এ দুর্ভাগা দেশ হতে হে মঙ্গলময় ,দূর করে দাও তুমি সর্ব তুচ্ছ ভয়।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪। ‘মানুষের উপর বিশ্বাস হারানাে পাপ। (সভ্যতার সংকট)- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫। একখানি ছােট ক্ষেত আমি একেলা, চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা। (সােনার তরী) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৬। ‘ঠাই নাই, ঠাই নাই, ছােটো এ তরী, আমারি সােনার ধানে গিয়াছে ভরি। (সােনার তরী) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭। ‘গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কুলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা। (সোনার তরী) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৮। নীল নবঘনে আষাঢ় গগণে, তিল ঠাই আর নাহিরে। ওগাে, আজ তােরা যাসনে ঘরের বাহিরে (আষাঢ়) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৯। চিক চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা, একধারে কাশবন ফুলে। ফুলে সাদা (আমাদের ছােট নদী) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০। ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, নদের এল বান – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১১। বিপদে মােরে রক্ষা কর এ নহে মাের প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয়।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১২। ‘প্রহরশেষের আলােয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস, তােমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।’- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৩। “খাঁচার পাখি ছিল সােনার খাঁচাটিতে, বনের পাখি ছিল বনে। একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে, কী ছিল বিধাতার মনে”- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪। যে ছেলে চাবামাত্রই পায়, চাবার পূর্বেই যার অভাব মােচন হতে থাকে; সে নিতান্ত দুর্ভাগা। ইচ্ছা দমন করতে না শিখে কেউ কোন কালে সুখী হতে পারে না।’- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৫। কালের যাত্রা ধ্বনি শুনিতে কি পাও? তারি রথ নিত্যই উধাও।’- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৬। তােমারে যা দিয়েছিনু সে তােমারি দান, গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৭।আজিই এ প্রভাতে রবির কর কেমনে পশিল প্রাণের পর, কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাত পাখির গান।’- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৮।যে আমারে দেখিবার পায় অসীম ক্ষমতায় ভালাে মন্দ মিলায়ে। সকলি, এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯।উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ভয় নাই, ওরে ভয় নাই,
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২০। ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা ওরে সবুজ, ওরে অবুজ, আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা (সবুজের অভিযান) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২১। কারাে আর ধলাে বাহিরে কেবল। ভিতরে সবারি সমান রাঙ্গা (মানুষ জাতি) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২২। ‘মরণ রে, তুহু মম শ্যামসমান (মরণ) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৩। বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি, সে আমার নয় – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৪। ‘ফ্যাশনটা হল মুখােশ, স্টাইলটা হল মুখশ্রী’ (শেষের কবিতা) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৫। ‘সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালােবাসিলাম, সে কখনাে করে না বঞ্চনা -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৬। ‘আকাশে তাে আমি রাখি নাই, মাের উড়াবার ইতিহাস – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৭। ‘এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি, রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি (দুই বিঘা জমি) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
📒কাজী নজরুল ইসলাম
২৮। “বল বীর-
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি আমরি, নত-শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!” (“অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘বিদ্রোহী কবিতা থেকে নেয়া) – কাজী নজরুল ইসলাম
২৯। ‘আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস
আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ (‘অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘বিদ্রোহী কবিতা থেকে নেয়া) কাজী নজরুল ইসলাম
৩০। ‘গাহি সাম্যের গান, মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান (মানুষ) – কাজী নজরুল ইসলাম
৩১। ‘গাহি তাহাদের গান, ধরনীর হাতে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান। (জীবন-বন্দনা) – কাজী নজরুল ইসলাম
৩২। ‘দেখিনু সেদিন রেলে, কুলি বলে এক বাবু সাব তারে ঠেলে দিল নীচে ফেলে (সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থের ‘কুলি-মজুর কবিতা থেকে নেয়া) কাজী নজরুল ইসলাম
৩৩। ‘বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণ কর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর (নারী) – কাজী নজরুল ইসলাম
৩৪। ‘হে দারিদ্র্য তুমি মােরে করেছ মহান। তুমি মােরে দিয়াছ খ্রীস্টের সম্মান কন্টক মুকুট শােভা (দারিদ্র) – কাজী নজরুল ইসলাম
৩৫। ফাঁসির মঞ্চ গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান, আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন বলিদান?’ (কাণ্ডারি হুশিয়ার) কাজী নজরুল ইসলাম
৩৬। ‘নিঃশেষে নিশাচর, গ্রাসে মহাবিশ্বের, ত্রাসে কাপে তরণীয় পাপী যত নিঃস্বে’ (খেয়া পারের তরুণী) : কাজী নজরুল ইসলাম
৩৭। ‘বাহিরের স্বাধীনতা গিয়াছে বলিয়া অন্তরের স্বাধীনতাকেও আমরা যেন বিসর্জন না দিই।’- কাজী নজরুল ইসলাম
৩৮। ‘আজি হতে শত বর্ষে আগে, কে কবি, স্মরণ তুমি করেছিলে আমাদের শত অনুরাগে।’- কাজী নজরুল ইসলাম
📒জসীম উদ্দীন
৩৯। ‘এই খানে তাের দাদির কবর, ডালিম গাছের তলে তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে (কবর)- জসীম উদ্দীন
৪০। ‘এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সােনার মতন মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক’ (কবর) – জসীম উদ্দীন
৪১। ‘আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়, কবর দেশেতে ঘুমায় নিঝঝুম নিরালায়!’ (কবর) – জসীম উদ্দীন
৪২। ‘এই মাের হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে, গাড়িয়া দিয়াছি কত সােনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে (কবর) – জসীম উদ্দীন।
৪৩। ‘আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর। আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মােরে করেছে পর।’- জসীম উদ্দীন।
৪৪। তুমি যাবে ভাই? যাবে মাের সাথে, আমাদের ছােট গাঁয়? গাছের ছায়ায় লতায় পাতায়, উদাসী বনের বায়?’- জসীম উদ্দীন
📒জীবনানন্দ দাশ
৪৫। বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর ((‘রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘বাংলার মুখ আমি’ কবিতা থেকে নেয়া) – জীবনানন্দ দাশ।
৪৬। ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে এই বাংলায় হয়তাে মানুষ নয় হয়তাে বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে’(রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত আবার আসিব ফিরে কবিতা থেকে নেয়া) – জীবনানন্দ দাশ।
৪৭। হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছে পৃথিবীর পথে সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীদের অন্ধকারে মালয় সাগরে (বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত বনলতা সেন নামক কবিতা থেকে নেয়া)- জীবনানন্দ দাশ।
৪৮। সব পাখি ঘরে আসে সব নদী ফুরায় এ জীবনের সব লেন দেন; থাকে শুধু অন্ধকার, মুখােমুখি বসিবার বনলতা সেন (বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘বনলতা সেন নামক কবিতা থেকে নেয়া)- জীবনানন্দ দাশ।
৪৯।আমি যদি হতাম বনহংস, বনহংসী হতে যদি তুমি, কোনাে এক দিগন্তের জলসিড়ি নদীর ধানক্ষেতের কাছে (আমি যতি হতাম)- জীবনানন্দ দাশ।
৫০। সুরঞ্জনা, ঐখানে যেয়াে না তুমি, বােলাে নাকো কথা ওই যুবকের সাথে (আকাশনীলা)- জীবনানন্দ দাশ।
📒সুকান্ত ভট্টাচার্য
৫১। ‘এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান; জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত ধ্বংসস্তূপ পিঠে চলে যেতে হবে আমাদের (‘ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ছাড়পত্র’ নামক কবিতা থেকে নেয়া) – সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৫২। এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযােগ্য করে যাব আমি- নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার (‘ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ছাড়পত্র’ নামক কবিতা থেকে নেয়া) – সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৫৩।যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে, তার মুখে খবর পেলুম: সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক (ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘ছাড়পত্র নামক কবিতা থেকে নেয়া) – সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৫৪। ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানাে রুটি (‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত হে মহাজীবন কবিতা থেকে নেয়া)- সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৫৫। আঠারাে বছর বয়স কী দুঃসহ, স্পর্ধা নেয় মাথা তােলবার ঝুঁকি (ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতা) – সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৫৬। এ বয়সে কেই মাথা নােয়াবার নয়, আঠারাে বছর বয়স জানে না কাঁদা (ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘আঠারাে বছর বয়স কবিতা) – সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৫৭। ‘রানার ছুটেছে তাই ঝুমঝুম ঘণ্টা রাজছে রাতে রানার চলেছে খবরের বােঝা হাতে (ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত রানার নামক কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে)- সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৫৮। ‘অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি, জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশ ভূমি’ (ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘অনুভবন কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে)- সুকান্ত ভট্টাচার্য।
📒কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
৫৯। কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে, দুঃখ বিনা সুখ লাভ কি হয় এই মহিতে?’- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
৬০। কেন পান্থ ক্ষান্থ হও হেরি দীর্ঘ পথ, উদ্যম বিহনে কার পুরে মনােরথ?’- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
৬১। যে জন দিবসে মনের হরষে জালায় মােমের বাতি, আশু গৃহে তার, দেখিবে না আর, নিশীথে প্রদীপ বাতি (মিতব্যয়িতা)- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
৬২। ‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে? কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কড়ু আশী বিষে দংশেনি যারে’ কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
📒শেখ ফজলল করিম
৬৩। ‘সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন, হউক দূর অকল্যাণ সকল অশােভন।’- শেখ ফজলল করিম।
৬৪। ‘কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর; মানুষের মাঝে স্বর্গ- নরক, মানুষেতে সুরাসুর।’- শেখ ফজলল করিম
৬৫। ‘প্রীতি ও প্রেমের পূণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গে আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।- শেখ ফজলল করিম
📒ভাষা ও দেশ বিষয়ক বিখ্যাত উক্তি
৬৬। স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে?’- রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
৬৭। ‘মােদের গরব মােদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।’- অতুল প্রসাদ সেন।
৬৮। ‘নানান দেশের নানান ভাষা, বিনে স্বদেশি ভাষা, পুরে কি আশা?’ (স্বদেশী ভাষা) – রামনধি গুপ্ত
৬৯। বাংলার কাব্য বাংলার ভাষা মিটায় আমার প্রাণের পিপাসা, সে দেশ আমার নয় গাে আপন, যে দেশে বাঙালি নেই।- রামনিধি গুপ্ত
৭০। যে সবে বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী, সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।’- (বঙ্গবাণী) আবদুল হাকিম
৭১। ‘মাতৃভাষায় যাহার নাই, সে মানুষ নহে।- মীর মশাররফ হােসেন।
৭২। ‘বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ-নলে কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?’ (কপােতাক্ষ নদ)- মধুসূদন দত্ত।
৭৩। হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন তা সবে, (অবােধ আমি) অবহেলা করি, পর ধন লােভে মত্ত করিনু ভ্রমণ।- মধুসূদন দত্ত।
৭৪। ‘জন্মেছি মাগাে তােমার কালেতে মরি যেন এই দেশে।- সুফিয়া কামাল।
৭৫। হে কবি নীরব কেন, ফাগুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?’ (তাহারেই পড়ে মনে) – সুফিয়া কামাল।
৭৬। মধুর চেয়ে আছে মধুর, সে আমার দেশের মাটি, আমার দেশের পথের ধূলা খাঁটি সােনার চাইতে খাঁটি।- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
৭৭। কতরূপ মেহ করি, দেশের কুকুর ধরি, বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
৭৮। ‘ধন-ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদেরই এই বসুন্ধরা, তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা (ধন-ধান্যে পুষ্পে ভরা) – দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
৭৯। আমরা হিন্দু বা মুসলিম যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি -ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
৮০। এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার সময় তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।- হেলাল হাফিজ।
৮১। ‘জনতার সংগ্রাম চলবেই, আমাদের সংগ্রাম চলবেই, হতমানে অপমানে নয়, সুখ সম্মানে।’- সিকান্দার আবু জাফর।
৮২। যতদিন রবে পদ্মা-যমুনা-গৌরী-মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তি তােমার শেখ মুজিবুর রহমান (বঙ্গবন্ধু) – অন্নদাশঙ্কর রায়
৮৩। ‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি, আমি আমার পূর্ব পুরুষের কথা বলছি’- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।
৮৪। ‘মাগাে ওরা বলে, সবার কথা কেড়ে নিবে’- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।
৮৫। ‘স্বাধীনতা তুমি, রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান (স্বাধীনতা তুমি)- শামসুর রাহমান
৮৬। তােমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা, তােমাতে পাওয়ার জন্য আর কতবার ভাসতে হবে রক্ত গঙ্গায়?’ (তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা) – শামসুর রাহমান
৮৭। তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা, সকিনা বিবির কপালে ভাঙলাে, সিথির সিদুর মুছে গেল হরিদাসীর (তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা) – শামসুর রাহমান
৮৮। ‘আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা- শামসুর রাহমান
৮৯। ‘আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই, আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি (বাতাশে লাশের গন্ধ) – রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
৯০। বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে, মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ (বাতাশে লাশের গন্ধ) – রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
৯১। ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরছে সেই পুরনাে শকুন (বাতাশে লাশের গন্ধ) – রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
৯২। ‘কবিতায় আর কি লিখব? যখন বুকের রক্ত দিয়ে লিখেছি একটি নাম বাংলাদেশ (শহীদ স্মরণে) – মােহাম্মদ মনিরুজ্জামান
৯৩। ‘ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র চিবিয়ে খাব’- রফিক আজাদ
৯৪। স্মৃতির মিনার ভেঙ্গেছে তােমার? ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনাে চারকোটি পরিবার খাড়া আছি তাে!’ (স্মৃতিস্তম্ভ) -আলাউদ্দিন আল আজাদ।
৯৫। ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’- মাহবুব উল আলম চৌধুরী
৯৬। ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র চিবিয়ে খাব।’ রফিক আজাদ
৯৭। শিক্ষায় মাতৃভাষাই মাতৃদুগ্ধ।’- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৯৮। সুশিক্ষিত লােক মাত্রই স্বশিক্ষিত।- প্রমথ চৌধুরী
১৯। ‘সাহিত্য জাতির দর্পণ স্বরূপ- প্রমথ চৌধুরী
১০০। ‘ধর্ম সাধারণ লােকের কালচার (সংস্কৃতি), আর কালচার (সংস্কৃতি) শিক্ষিত, মার্জিত লােকের ধর্ম- (সংস্কৃতি কথা) মােতাহের হােসেন চৌধুরী
📒অন্যান্য বিখ্যাত উক্তি
১০১। সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই।- বড় চণ্ডীদাস
১০২। ‘সই, কেমনে ধরিব হিয়া আমার বধুয়া আন বাড়ি যায় আমার আঙিনা দিয়া।’-বড়ু চণ্ডীদাস
১০৩। ‘রূপলাগি অখি ঝুরে গুণে মন ডাের, প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মাের।’- জ্ঞানদাস
১০৪। ‘সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল।’- জ্ঞানদাস
১০৫। ‘বড়র পিরীতি বালির বাঁধ, ক্ষণে হাতে দড়ি, ক্ষণেক চাঁদ।- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
১০৬। ‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
১০৭। ‘নগর পুড়িলে কি দেবালয় এড়ায়?’- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
১০৮। ‘প্রণমিয়া পাটনী কহিল জোর হাতে আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে- (অন্নদামঙ্গল কাব্য) ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
১০৯। ‘অডাগা যদ্যপি চায় সাগর শুকায়ে যায়।- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
১১০। সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভালাে হয়ে চলি।’- মদনমােহন তর্কালঙ্কার
১১১। পাখি সব করে রব রাতি পােহাইল।’- মদনমােহন তর্কালঙ্কার
১১২। ‘সকলের তরে সকলে মােরা, প্রত্যেকে মােরা পরের তরে (পরার্থে)- কামিনী রায়
১১৩। ‘করিতে পারি না কাজ, সদা ভয় সদা লাজ, সংশয়ে সংকল্প সদা টলে, পাছে লােক কিছু বলে’ (পাছে লােক কিছু বলে)- কামিনী রায়
১১৪। ‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি, এ জীবন মন সকলি দাও, তার মত সুখ কোথাও কি আছে? আপনার কথা ভুলিয়া যাও’ (সুখ)- কামিনী রায়
১১৫। ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।- কুসুমকুমারী দাশ
১১৬। ‘পারিব না এই কথাটি বলিও না আর, কেন পারিব না তাহা ভাব একবার।’- কালীপ্রসন্ন ঘােষ
১১৭। একবার না পারিলে দেখ শতবার।’- কালীপ্রসন্ন ঘােষ
১১৮। ‘মহাজ্ঞানী মহাজন, পথে কারে গমন হয়েছেন। প্রাতঃস্মরণীয়।’- হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
১১৯। ‘কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়, তা বলে কুকুরে কামড়ানাে কিরে মানুসে শােভা পায়?’ (উত্তম ও অধম) – বাংলা অুনবাদক সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, মূল লেখক- শেখ সাদি।
১২০। বন্যরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে- সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
১২১। ‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়।- (রক্তাক্ত প্রান্তর) মুনির চৌধুরী
১২২। ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ, মাতৃজরায়ু থেকে নেমেই জেনেছি আমি।’- দাউদ হায়দার।
১২৩। ‘পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছছা?’- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১২৪। তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?’- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১২৫। লােকে বলে, বলে-রে, ঘরবাড়ি ভালা না আমার।- হাসন রাজা
১২৬। ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়।- লালন ফকির
১২৭। ‘বামন চিনি পৈতা প্রমাণ বামনী চিনি কিসে রে।’- লালন ফকির
১২৮। যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা, যুদ্ধ মানেই আমার প্রতি তােমার অবহেলা।- নির্মলেন্দু গুণ।
১২৯। বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ, মাগাে আমার শােলক বলা কাজলা দিদি কই?- (কাজলা দিদি) যতীন্দ্রমােহন বাগচী
১৩০। ‘বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই, আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে তুমি কত কষ্ট পাও রােদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।- (স্বাধীনতার সুখ) রজনীকান্ত সেন
১৩১। বিদ্যে বােঝাই বাবু মশাই চড়ি শখের বােটে, মাঝিরে কন, বলতে পারিস সূর্যি কেন ওঠে?’- সুকুমার রায়
১৩২। ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত।’- সুভাষ মুখােপাধ্যায়
১৩৩। ‘আধুনিক সভ্যতা দিয়েছে বেগ, নিয়েছে আবেগ।- যাযাবর
১৩৪। কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলাে, কেউ কথা রাখে নি।’- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১৩৫। জীবে দয়া করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।’- স্বামী বিবেকানন্দ
১৩৬। ‘ঈশ্বর থাকেন ঐ গ্রামে, ভদ্র পল্লীতে। এখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না।’- (পদ্মা নদীর মাঝি) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১৩৭। ‘আমারে নিবা মাঝি লগে?’- (পদ্মা নদীর মাঝি) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
সংকলন-মোস্তাফিজার মোস্তাক