বাংলাদেশের বনজ সম্পদ
০১. সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশহিসেবে ঘােষণা করে কোন সংস্থা?
– UNESCO
০২. UNESCO কবে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘােষণা করে এবং কততম?
= ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ সালে, ৭৯৮তম।
(অপশনে ৭৯৮তম না থাকলে উত্তর হবে- ৫২২তম)
০৩. বাংলাদেশে মােট বনভূমির পরিমাণ কত?
= ২৫ লক্ষ হেক্টর বা ২৫ হাজার বর্গ কিমি (প্রায়)
০৪. বাংলাদেশে মাথাপিছু বনভূমির পরিমাণ কত?
=0.০২ হেক্টর
০৫. কোন দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সেই দেশের কতভাগ বনভূমি থাকা প্রয়ােজন?
= শতকরা ২৫ ভাগ
০৬. সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের মােট ভূমির কতশতাংশ বনভূমি রয়েছে?
= ১৭.০৮% (সূত্র: ভূগােল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি)
০৭. বাংলাদেশে সর্ব প্রথম সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি শুরু হয় কবে?
= ১৯৮১ সালে।
০৮. বাংলাদেশের বনভূমিকে কয়টি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে?
= ৩টি শ্রেণিতে। যথা:
১) ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং পাতাঝরা গাছের বনভূমি,
২) ক্রান্তীয় পাতাঝরা গাছের বনভূমি,
৩) স্রোতজ বনভূমি বা সুন্দরবন।
৯. পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে কোন ধরনের বনভূমি দেখা যায়?
= ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনভূমি।
১০. মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং বরেন্দ্র অঞ্চলের বনভূমি কী ধরনের বনভূমি?
= ক্রান্তীয় পাতাঝরা গাছের বনভূমি
১২. একক হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বন কোনটি?
= সুন্দরবন।
১৩. সুন্দরবনের মােট আয়তন কত?
= ১০,০০০ বর্গ কি.মি
১৪. বাংলাদেশ অংশে সুন্দরবনের আয়তন কত বর্গ কি.মি?
=৬,০১৭ বর্গ কি.মি।
১৫. সুন্দরবনের কত শতাংশ বাংলাদেশে পড়েছে?
= ৬২ শতাংশ।
১৬. সুন্দরবন বাংলাদেশের কতটি জেলাকে স্পর্শ করেছে?
= ৫টি জেলাকে। যথা- খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা,
পটুয়াখালী ও বরগুনা।
১৭. অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বনাঞ্চল কোনটি?
= পার্বত্য চট্টগ্রাম বনাঞ্চল।
১৮. বাংলাদেশের কোন বিভাগে বনভূমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
=চট্টগ্রাম বিভাগ
(বিভাগ হিসেবে রাজশাহী বিভাগে বনভূমির পরিমাণ সবচেয়ে কম। তবে জেলার মধ্যে বাগেরহাট জেলায় বনভূমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।)
১৯. সুন্দরবনে কোন কোন গাছ বেশি পাওয়া যায়?
= সুন্দরী গাছ, গেওয়া, কেওড়া, ধুন্দল,গােলপাতা ইত্যাদি।
২০. সুন্দরবনের প্রাণিজ সম্পদ কী কী?
= রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, বানর, সাপ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি প্রভৃতি।
২১. সুন্দরি গাছ কত দীর্ঘ হতে পারে?
= ৪০ থেকে ৬০ ফুট।
২২, বাংলাদেশের ব্যবহৃত কাঠের কত ভাগ সুন্দরবন থেকে আসে?
= ৬০ ভাগ।
২৩. বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে কতটি জেলাতে কোনাে রাষ্ট্রীয় বনভূমি নেই?
= ২৮টি জেলায়।
২৪. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়ােজনীয় বনভূমি রয়েছে। কয়টি জেলায়?
= ৭টি জেলায়।
২৫. মধুপুরের বনাঞ্চল কোথায় অবস্থিত?
=গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায়।
২৬. মধুপুরের বনাঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ কী?
= শাল।
২৭. ভাওয়ালের বনাঞ্চল কোথায় অবস্থিত?
= গাজীপুর
২৮. বাংলাদেশের দীর্ঘতম বৃক্ষ কোনটি?
– বৈলাম বৃক্ষ (উচ্চতা ২৪০ ফুট প্রায়)।
২৯. বৈলাম বৃক্ষ কোথায় জন্মে?
= বান্দরবানের বনাঞ্চলে।
৩০. কোন জাতীয় গাছ তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়?
= বাঁশ জাতীয় গাছ।
৩১. পরিবেশ রক্ষায় কোন গাছটি ক্ষতিকর?
= ইউক্লিপটাস।
৩২. উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী বনাঞ্চল কয়টি জেলায় করা হয়েছে?
= ১০টি।
৩৩. বাংলাদেশের উকূলীয় জেলা কতটি?
=১৯ টি। (তবে বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা ১৭টি)
৩৪. বাংলাদেশে বন গবেষণা কেন্দ্র কোথায়?
= চট্টগ্রামে।
৩৫. পেন্সিল তৈরি হয় কোন কাঠ থেকে?
= ধুন্দল
৩৬. বাক্স-ও দিয়াশলাইয়ের কাঠি প্রস্তুত হয় কোন কাঠ থেকে?
= গেওয়া।
৩৭. কোন গাছের ছাল থেকে রং প্রস্তুত করা হয়?
= গরান
৩৮. গােলপাতা কী কাজে লাগে?
= ঘরের ছাউনি হিসেবে। গােলপাতার আরেক নাম ‘নিপা পাম’।
৩৯. ম্যানগ্রোভ’ কী?
= লােনা পানি বা কাদার মধ্যে জেগে থাকা খুঁটির মতএক ধরনের শ্বাস গ্রহণকারী শিকড় বিশিষ্ট গাছকে ‘ম্যানগ্রোভ বলে।
৪০. ‘ম্যানগ্রোভ কোথায় কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?
= সুন্দরবন ও কক্সবাজারের উপকূলীয় জলাভূমিতে।
৪১. পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন কোনটি?
= বাংলাদেশের সুন্দরবন।
৪২. ‘টাইডাল বন কী?
= যে ভূমি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় আবার ভাটায় শুকিয়ে যায় তাকে টাইডাল বা জোয়ার-ভাটার বন বলে।
৪৩. বাংলাদেশের কোথায় কোথায় টাইডাল বন অবস্থিত?
= খুলনা ও পটুয়াখালী জেলার দক্ষিণাংশ উপকূলীয় বনভূমি ও সুন্দরবন এই শ্রেণীর বৃহত্তম বন। এছাড়া কক্সবাজারের চকোরিয়াতেও এই শ্রেণির বন রয়েছে।
৪৪. সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশের অন্য টাইডাল বন কোনটি?
= সংরক্ষিত চকোরিয়া বনাঞ্চল ।
৪৫. পৃথিবীর বিখ্যাত টাইডাল বনভূমি কোনটি?
= সুন্দরবন।
৪৬. কোন গাছকে সূর্যকন্যা বলা হয়?
= তুলা গাছকে।
৪৭. চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি বনাঞ্চলে কী কী বৃক্ষ জন্মে?
= গর্জন, জারুল, সেগুন, চাপালিস, গামার, বাঁশপ্রভৃতি।
৪৮. বাংলাদেশের কোন বনভূমি শালবৃক্ষের জন্য বিখ্যাত?
= ভাওয়াল ও মধুপুরের বনভূমি।
৪৯. বিভাগ অনুসারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বনভূমি রয়েছে কোথায়?
= চট্টগ্রাম বিভাগে।
৫০. বিভাগ অনুসারে সবচেয়ে কম বনভূমি রয়েছে কোথায়?
= রাজশাহী বিভাগে।
৫১. বাংলাদেশে জাতীয় বৃক্ষরােপণ অভিযান শুরু হয় কবে?
= ১৯৯২ সালে।
৫২. ‘জাতীয় পরিবেশ নীতি কত সালে ঘােষণা করা হয়?
= ১৯৯২ সালে।
৫৩. সিলেট বনাঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ কী কী?
= সেগুন, মেহগনি, জারুল ইত্যাদি।
৫৪. গজারী বৃক্ষ স্থায়ীভাবে কী নামে পরিচিত?
= শাল গাছ।
৫৫. কাদের ‘বাওয়ালি বলা হয়?
= সুন্দরবনের গােলপাতা সংগ্রহকারীদের বাওয়ালি বলা হয়।
৫৬. কাদের মৌয়ালি’ বলা হয়?
=সুন্দরবনের মধু সংগ্রহকারীদের ‘মৌয়ালি’ বলা হয়।
৫৭. নেপিয়ার কী?
= এক জাতীয় ঘাস।
৫৮. সুন্দরবনের ক্ষেত্রে কোনটি প্রযােজ্য?
= এটি বাংলাদেশের জাতীয় বন,এটি পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, এটি টাইডাল বন ও একক হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বন।
(আর বাংলাদেশের একক বনাঞ্চল হিসেবে বৃহত্তম বনাঞ্চল হল পার্বত্য চট্টগ্রাম বনাঞ্চল)
৫৯. চিরহরিৎ পাতাঝরা গাছ কোনগুলাে?
= যেসব গাছের পাতা এক সঙ্গে ঝরে যায় না এবং পাতাগুলো চির সবুজ থাকে ।
৬০. চিরহরিৎ পাতাঝরা বনভূমিতে পাতাঝরা গাছ কি কি?
= গামার, শিমুল, কড়ই, সেগুন, জারুল ।
৬১. ক্রান্তীয় পাতাঝরা বন কী?
= ক্রান্তীয় অঞ্চলে যে সব গাছেরপাতা বছরে একবার সম্পূর্ণ ঝরে যায়।
৬২. ক্রান্তীয় পাতাঝরা বন কোথায় পাওয়া যায়?
= ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, রংপুর ও দিনাজপুর।
৬৩. ক্রান্তীয় পাতাঝরা বনভূমি কতভাগে ভাগকরা হয়?
= দুই ভাগে। মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং বরেন্দ্র অঞ্চলের বনভূমি।
৬৪. ক্রান্তীয় পাতাঝরা বনে কী কী গাছ পাওয়া যায়?
= কড়ই, হিজল, বহেরা, হরিতকি, কাঁঠাল, নিম ইত্যাদি।
৬৫. সুন্দরবনের লবণাত্মক অঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ
= গড়ান।
৬৬. বাংলাদেশের সােয়াম্প ফরেস্ট
= সিলেটের রাতারগুল
৬৭. সােয়াম্প ফরেস্ট বলতে বােঝায়?
= স্বাদু পানির জলাবন।
(উল্লেখ্য যে, সারা বিশ্বে স্বাদু পানির জলাবন আছে- ২২টি। এর মাঝে ভারতীয় উপমহাদেশে আছে মাত্র ২টি; একটি বাংলাদেশে অপরটি শ্রীলংকায় ।]
৬৮. ‘বাংলার আমজন বলা হয়
= সিলেটের রাতারগুল বনকে
৬৯. বাংলাদেশে মােট যত ধরনের ম্যানগ্রোভ বন দেখা যা
= ধরনের।
১। প্রাকৃতিক (যেমন: সুন্দরবন) এবং
২। উপকূলীয় বনায়ন।
৭০. সুন্দরবনের পশ্চিমে যে নদী অবস্থিত
– রায়মঙ্গল নদী
৭১. সুন্দরবনের পূর্বে যে নদী অবস্থিত
– বলেশ্বর নদী
পরীক্ষার হলে যেখানে ভুল হতে পারে-
বাংলাদেশের বৃহত্তম বনভূমি
– পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমি।
– (যদি বৃহত্তম বনভূমি না বলে বলা হতাে বৃহত্তম বন কোনটি? তখন উত্তর হতাে- সুন্দরবন)
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বনভূমি
– সুন্দরবন। (একক বন হিসেবে বৃহত্তম)
বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম বনভুমি
– মধুপুর ও ভাওয়াল বনভূমি।
উপকূলীয় বনের আরেক নাম
– ম্যানগ্রোভ বন।
বাংলাদেশে কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ বন রয়েছে
– কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া, নােয়াখালী জেলা ও ভােলা জেলায়।
– (নােট: অপশনে সবগুলাে থাকলে উত্তর হবে- কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া ।)