আমাদের বাণী ডেস্ক, ঢাকা; দক্ষিণ সুদানের ভাইস প্রেসিডেন্টের পর এবার ১০ মন্ত্রী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। আফ্রিকার দারিদ্র্যপীড়িত দেশটির তথ্যমন্ত্রী মাইকেল মাকুয়েই সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। মাকুয়েই নিজেও আক্রান্ত হয়েছেন এ ভাইরাসে।
তার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, এই মন্ত্রীরা সম্প্রতি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক-ফোর্সের সভায় অংশ নিয়েছিলেন। ওই টাস্ক-ফোর্সের একাধিক সদস্যের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় সম্প্রতি। তারপর ওই মন্ত্রীদের নমুনা পরীক্ষা করা হলে তাদের দেহেও ভাইরাসটির উপস্থিতি মিলল।
- এর আগে অবশ্য দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক মাচার, তার স্ত্রী অ্যাঞ্জেলিনা টেনির দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তাদের নিরাপত্তারক্ষীরাও আক্রান্ত হন এ ভাইরাসে। তথ্যমন্ত্রী জানান, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সব মন্ত্রীই কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন। তবে তারা ভালো আছেন এখনো।
সংবাদমাধ্যমে প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেও তা নাকচ করেন তথ্যমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষমতা নিয়ে কয়েক দশকের সংঘাত কবলিত দেশটিতে করোনা আক্রান্ত বাড়লেও সরকার তা মোকাবিলা করতে পারছে না।
করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে। তবে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস ক্রমে গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। চীন পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। পৃথিবীর ১২০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ মারণ ভাইরাসে মারা গেছে তিন লাখ ৪০ হাজার মানুষ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৩ মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয় হাজার ৯৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১০ হাজার ৮৩৪টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৩৪ হাজার ৬৭৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৮৭৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৭৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২০ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৯৬ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬ হাজার ৪৮৬ জন। সুস্থতার হার ২০.২২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৪১ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ১৬ জন ও নারী চারজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বাড়িতে চারজন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ২৮৬ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ৪১ জনকে।