ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে বিএনপিদলীয় মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের প্রচারণার শেষদিন বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারওয়ান বাজারে তাবিথ আউয়ালের প্রচারণায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ানবাজার থেকে রিজভীর নেতৃত্বে ধানের শীষের স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু হয়ে কিছুদূর এগোলে হঠাৎ লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। বিএনপির দাবি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায়।
হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, গোলাম সরোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মোর্শেদ আলমসহ অন্তত ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মী আহত বলে দাবি করা হয়েছে। রিজভী আহমেদ রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কাকরাইলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হামলায় রিজভী পায়ে ও হাতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় তার পায়ে ও হাতে রক্ত ঝরছিল। পরে তাকে দ্রুত কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়া হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা নির্বাচনী প্রচারণায় ধানের শীষের পক্ষে ভোট এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি চেয়ে কর্মীদের নিয়ে মিছিল করছিলাম। এ সময়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। আমি কিছু বুঝে উঠার আগে হামলার মুখে রাস্তায় পড়ে যাই। পায়ে ও হাতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছি। পরে কী হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছি না। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অর্থোপেডিক চিকিৎসক ইকবাল হাসান চৌধুরীর তত্ত্বাবধায়নে আমার চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে দলের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিবউন নবী খান সোহেল, সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ নেতারা ছুটে আসে। সন্ধ্যায় হাসপাতালে রিজভীকে দেখতে যান ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
মিছিলে অংশ নেয়া বিএনপির এক নেতা জানান, রিজভীর নেতৃত্বে একটি মিছিল ধানের শীষে ভোট ও খালেদা জিয়ার মুক্তির স্লোগান দিয়ে এগুচ্ছিল। ঠিক ওই সময়ে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল থেকে এ হামলা হয়।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের পুলিশের সহকারী কমিশনার এসএম মঈনুল ইসলাম জানান, শান্তিপূর্ণ দুই পক্ষের মিছিল গেছে। কোনো কিছু সমস্যা হয়নি বা কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
এ দিকে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ হামলা প্রমাণ করে যে, সরকার নিলর্জ্জভাবে নির্বাচনকে একদলীয় করার সব আয়োজন করে ফেলেছে। প্রচারণার শেষদিনে বিএনপির মিছিলের ওপর এই ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।
এর আগে সকালে নয়াপল্টন এলাকায় রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ওই মিছিলে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ সংগঠনটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেয়।