গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধক বিশ্বজুড়ে বহুল প্রচলিত ওষুধ রেনিটিডিনের মধ্যে সম্ভাব্য ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান পাওয়ার গেছে। বেশ কয়েকটি দেশে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ওষুধটি। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র স্যান্ডোজের তৈরি রেনিটিডিন ক্যাপসুল কোম্পানিটি তাদের বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
বাংলাদেশেও ধরনের পরামর্শপত্র ছাড়াই মানুষ নিজে থেকেই এ ওষুধ ব্যবহার করে থাকে। এখানে বিদেশি কোম্পানি স্যান্ডোজ ও গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইনসহ অনেক দেশি কোম্পানির রেনিটিডিন বাজারে চললেও এবিষয়ে কারো কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।
দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন সংস্থা (এফডিএ) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রাথমিক পরীক্ষায় বেশ কিছু ব্র্যান্ডের রেনিটিডিনের মধ্যে এনডিএমএর উপস্থিতি পাওয়ার পর সতর্কতা জারি করা হয়।
তখন এই ওষুধের কোনো ব্র্যান্ডের মধ্যে এনডিএমএর ক্ষতিকর মাত্রা নিশ্চিত না হলেও সতর্কতা হিসেবে কানাডা, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি কোম্পানি রেনিটিডিন সরবরাহ বন্ধ করার ও বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন স্বাস্থ্য সেবাদাতা ও রোগীদের উদ্দেশ্যে এক সতর্কবার্তায় বলেছে, উচ্চমাত্রার এনডিএমএর উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর স্যান্ডোজ তাদের তৈরি দুই মাত্রার রেনিটিডিন ক্যাপসুলের (১৫০ ও ৩০০ মিলিগ্রাম) ১৪টি লট বাজার থেকে স্বেচ্ছায় তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
কোনো কোম্পানির রেনিটিডিন বাজার থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা না দেওয়া হলেও ওষুধে উচ্চমাত্রার এনডিএমএর উপস্থিতি নেই বলে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে বাজারে রেনিটিডিন সরবরাহ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানায় হেলথ কানাডা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে ভারতের ওষুধ কোম্পানি ড. রেড্ডিস ফার্মাসিউটিক্যালস ও গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইন পূর্ব সতর্কতা হিসেবে তাদের রেনিটিডিন বাজারে সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।