কাশ্মীর ইস্যুতে এ বার ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল পাকিস্তান। একই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণাও করল পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বহর কমিয়ে দেওয়া হবে বলেও সরকারি ভাবে জানানোর পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল ইসলামাবাদ।
বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে ইসলামাবাদে জাতীয় সুরক্ষা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৈঠকে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের মর্যাদা বাতিল ও ভারতের একতরফা এবং বেআইনি পদক্ষেপ ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া বিষয়টি জাতিসংঘে তোলা হবে বলেও ঘোষণা করল ইমরান খানের সরকার। তবে পাকিস্তানের এই ঘোষণার পর নয়াদিল্লি এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দিয়েছে ভারত সরকার। তার জেরে পাকিস্তানে তীব্র প্রতিক্রিয়া। ভারতের এই সিদ্ধান্ত ‘বেআইনি’ দাবি করে মঙ্গলবার পাক সংসদে কড়া বক্তব্য পেশ করেন ইমরান খান। এর পর বুধবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক ডাকেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকেই ইসালামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
ওই বৈঠকের পর মূলত পাঁচটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পাক সরকারের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে দেবে ইসলামাবাদ। বন্ধ করে দেবে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক বাণিজ্য। এ ছাড়া দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করে পুনর্বিন্যাস করা হবে।
পাকিস্তান বরাবরই দাবি করে, কাশ্মীরের সমস্যা দ্বিপাক্ষিক নয়, আন্তর্জাতিক। যদিও ভারতের ঘোষিত নীতি হল, কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিক। এই কারণেই তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতাতেও পাকিস্তান আপত্তি করে না। বুধবারের বৈঠকেও নিজেদের এই অবস্থানের প্রেক্ষিতেই ইমরান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভারতের এই ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে যাবে। পাকিস্তান স্বাধীনতা দিবস পালন করে ১৪ আগস্ট। এ বারও পাক অধিকৃত কাশ্মীরিদের নিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে বলেও বৈঠকের পর ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদ।