আমাদের বাণী ডেস্ক, ঢাকা; করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
- জাতিসংঘের আওতাভুক্ত এই সংস্থার দাবি, অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার টিকে থাকার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। এর ফলে চলমান এই সংকটে ও পরে বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
ডব্লিউএইচও’র প্রধান তেদ্রোস আধানম জেনেভায় ডব্লিউএইচও’র প্রধান কার্যালয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানান, সাধারণত ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণ দমনে যেসব ওষুধ ব্যবহৃত হয় সেসবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকে থাকতে সক্ষম ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ‘উদ্বেগজনক হারে’ বেড়ে গেছে। এর মধ্যে করোনা ভাইরাস সংকটে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ এই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে চলমান এই মহামারির সময় এবং এর পরে রোগ ও মৃত্যুর বোঝা বাড়াবে।
- সারধারণত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার জন্য ব্যবহৃত হয় অ্যান্টিবায়োটিক। এর কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া বা কাজ না করাকেই অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক যখন কার্যকারিতা হারায় তখন শরীরের ভেতরে থাকা জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে বেঁচে যাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে। এ কারণে অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করে না, রোগও সারে না।
এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (০৩ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৭৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬৯৫জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৫ হাজার ১৪০জনে। ৫০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ১০৩টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৫১০টি। আক্রান্তের হার ২১.৫৪ শতাংশ।২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৭০ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১১ হাজার ৫৯০ জন। সুস্থতার হার ২১.০২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৫ শতাংশমারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ২৮ জন ও নারী ৯ জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩ জন, সিলেট বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের একজন ও খুলনা বিভাগের একজন।
আমাদের বাণী ডট কম/০৩ জুন ২০২০/সিসিপি