জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর সন্তানরাই এখন তার উত্তরাধিকার।
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আট বছর বাংলাদেশ শাসনকারী এরশাদের প্রথম স্ত্রী রওশন এরশাদ। তবে তার আগেও তার একটি বিয়ের খবর পাওয়া যায়।
এরশাদ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক থাকার সময় ১৯৮৩ সালে তার স্ত্রী রওশন এরশাদের পুত্র জন্ম দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে তা নিয়েই ছিল বিতর্ক।
রওশনের সেই ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদ (শাদ এরশাদ) তরুণ বয়সে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এজন্য তাকে গ্রেপ্তারও হতে হয়েছিল।
তারপর মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন শেষে শাদ এখন ঢাকাতেই থাকেন। পেশায় ব্যবসায়ী বলা হলেও তার কী ব্যবসা তা জানা যায়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-২ ( ফুলবাড়ি-সদর-রাজারহাট) এলাকা থেকে তাকে প্রার্থী করার গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল।
এরশাদের আরেক ছেলে এরিক এরশাদ। তার বয়স এখন ১৮ বছর। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এরিক বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে বাবা এরশাদের সঙ্গে থাকেন। গান-বাজনায় বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে তার।
এরিকের মা বিদিশার সঙ্গে এরশাদের স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক কয়েক বছর টিকেছিল। ২০০৫ সালে বিচ্ছেদের পর এরিককে নিয়ে এরশাদ ও বিদিশার যুদ্ধ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। পরে আদালতের আদেশে এরিকের দায়িত্ব পান এরশাদ।
এরশাদের ঘনিষ্ঠরা জানান, তার সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন সন্তান এরিক, তাকে নিয়েই তার যত ভাবনা ছিল। এক অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে এরিককে আমি সময় দিতে পারিনি। এরিক যখন আমার জীবনে আসে, তখন সে মাত্র দুই বছরের শিশু। সে স্নেহবঞ্চিত সন্তান। ছেলেবেলা থেকে মাতৃস্নেহ পায়নি। আমিও আমার অপর সন্তান জাতীয় পার্টি নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি সব সময়। ওকে স্নেহ-ভালবাসা দিতে পারিনি, বঞ্চনা করেছি।’
এরশাদের পালিত পুত্র ২৫ বছর বয়সী আরমান এরশাদ থাকেন এরশাদের বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে। তার একমাত্র পালিত কন্যা জেবিনের বিয়ে হয়েছে। ৩৫ বছর বয়সী জেবিন এখন লন্ডনে থাকেন।