সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতাদের অনেকে প্রায় সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উক্তিটি শেয়ার করেন, “উচ্চ আদর্শ ও সাদামাটা জীবনযাপন, এই হোক তোমাদের আদর্শ।” ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে তিনি বহুবার এই কথা বলেছেন।
তবে আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সদ্য পদ হারানো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ক্ষেত্রে ভিন্ন ধারণা পাওয়া গেছে।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলে থেকে সাধারণ জীবনযাপনেই অভ্যস্ত ছিলেন। কিন্তু, পদ পাওয়ার পরপরই তারা রাজধানীর কাঁঠালবাগান ও হাতিরপুলে যথাক্রমে ৭০ হাজার ও ৪০ হাজার টাকার ভাড়া ফ্লাটে জীবনযাপন শুরু করেন।
যদিও ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের কোনো চাকরি অথবা ব্যবসায়ে জড়িত থাকার সুযোগ ছিলো না। রাব্বানীর দাবি, অবস্থান বিবেচনায় অবিশ্বাস্য মূল্যের হওয়া সত্ত্বেও হাতিরপুলের ২ হাজার ৬শ’ বর্গফুটের ওই ফ্লাট তিনি ভাড়া নিয়েছিলেন মাত্র ৪০ হাজার টাকায়। তিনি এও দাবি করেছেন, সেই ফ্লাটের ভাড়া ২০১৫ সাল থেকে তার বাবা এবং ছোটভাই দিয়ে আসছেন।
গত বছর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরদিন থেকে রাব্বানী টয়োটা কোম্পানির নোয়া মডেলের একটি মাইক্রোবাস ব্যবহার করতে শুরু করেন। তিনি কীভাবে এই গাড়ির মালিক হলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে রাব্বানি বলেন, মাইক্রোবাসের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করা হয়নি, কিস্তির টাকা বকেয়া রয়েছে। তবে সেই কিস্তির টাকা তিনি কী করে পরিশোধ করেন, তা জানাতে চাননি। শোভনেরও এরকম একটি গাড়ি রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকাকালীন ক্যাম্পাসের কোথাও যেতে হলে এই দুজন অন্য সবার মতোই রিকশা ব্যবহার করতেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) রাব্বানী গতমাসে ডাকসু ভবনে তার নিজ কক্ষে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) লাগিয়েছেন।
এ বিষয়ে তার দাবি, এক শুভাকাঙ্ক্ষী তাকে উপহার হিসেবে এসি লাগিয়ে দিয়েছেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে শোভন সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার পথে অনেক নেতাকর্মী নিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করেন।