আজ বুধবার (০১ জুলাই ২০২০) সকালে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের অনলাইন মিটিং এ পার্টির নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।
অনলাইন মিটিং এ নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তি এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী নানা অংমের জোরালো দাবি সত্ত্বেও বাজেটে মহামারী পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, কৃষি-গ্রামীণ খাত, কর্মসংস্থান, ৮ থেকে ১০ কোটি মানুষের কাছে খাদ্য ও নগদ অর্থ পৌঁছানোর মত জরুরী বিষয়সমূহ প্রয়োজনীয় মনোযোগ ও গুরুত্ব পায়নি। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলসমূহের গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রস্তাবও বিবেচনায় নেয়া হয়নি। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই বাজেটে সামষ্টিক অর্থনীতিতে শৃঙ্খলার পরিবর্তে অনিয়ম, দুর্নীতি ও নৈরাজ্যের পরিসর আরো বৃদ্ধি করবে; অর্থ ও সম্পদের কেন্দ্রীভবন ও পুঞ্জিভবন আরো জোরদার করবে। নেতৃবৃন্দ, ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন বাংলাদেশে কেবল গত এক বছরেই কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ৮২৭৬ জন। যা আগের চেয়ে ১১% বেশী। তারা বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে নতুন অর্থবছরের বাজেট এই ধারাকে কেবল আরো জোরদার করবে। তারা বলেন, আর বাজেট ঘাটতির শেষ চাপও এসে পড়বে সাধারণ স্বল্প আয়ের মানুষের উপর। নেতৃবৃন্দ এই বাজেট প্রত্যাখান করেন এবং দুর্যোগ উত্তরণে সংশোধিত বাজেট প্রণয়নের দাবি জানান।
সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে করোনা পরীক্ষার ফী নির্ধারণের তীব্র সমালোচনা করে বলা হয় এর ফলে সংক্রমন আরো বৃদ্ধি পাবে। তারা অবিলম্বে করোনা পরীক্ষার ফী বাতিল করার দাবি জানান। একই সাথে প্রস্তাবে বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল ও পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করারও দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ আগামীকাল ২ জুলাই বাম গণতান্ত্রিক জোটের দেশব্যাপী বিক্ষোভ সফল করারও আহ্বান জানান।