জাহিদ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তার আত্মীয় ঋণ নিয়েছিলেন ৫ হাজার টাকা। কিন্তু সময় মতো সেই ঋণ ওই ব্যক্তি পরিশোধ করতে পারেননি। অভিযোগ উঠেছে, বাবা ঋণের টাকা দিতে না পারায় তার আড়াই বছরের এক মেয়ে শিশুকে গলাটিপে হত্যার পর চোখ তুলে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই শিশুর হাতও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ওই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে। এ ঘটনার পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তপ্পল এলাকা থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পরই দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেন এলাকাবাসী। তদন্তে নেমে দুজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
এর আগে গত ৩১ মে ওই শিশুর বাবা আলিগড় থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তারপর গতকাল বুধবার স্থানীয় একটি চাষের জমিতে কুকুরদের জমায়েত এবং তীব্র দুর্গন্ধে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। খবর দিলে আলিগড় থানার পুলিশ গিয়ে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। অপহরণ, খুনসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওই শিশুকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন তপ্পল এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসার পর আলিগড়ের এসএসপি আকাশ কুলহরি জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্ট যে, শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। তার চোখ উপড়ে ফেলা এবং হাত দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে দেওয়ার প্রমাণও মিলেছে। তবে যৌন নির্য়াতন বা ধর্ষণের কোনো চিহ্ন বা প্রমাণ মেলেনি ময়নাতদন্তে।
ওই শিশুকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, এলাকারই বাসিন্দা জাহিদ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন ওই শিশুর বাবা। জাহিদ তাদের আত্মীয়। ঘটনার কয়েক দিন আগেই জাহিদের সঙ্গে নিহত শিশুর বাবা ও দাদার সঙ্গে ওই টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। তার জেরেই এই খুন খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় দুজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের আগে ওই শিশুকে অপহরণ করে কোথাও রাখা হয়েছিল কি না, খুনের ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কি না, এসব বিষয় খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।