আমাদেরকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে: ছাত্রলীগের পদচ্যুত সম্পাদক রাব্বানী

চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া গোলাম রাব্বানী দাবি করেছেন তাকে এবং রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে (ছাত্রলীগ থেকে বরখাস্ত হওয়া সভাপতি ) বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে তিনি নির্দোষ প্রমাণ হবেন বলে দাবি করেছেন রাব্বানী। আগের পদে ফেরার বিষয়েও আশাবাদী তিনি।

রাব্বানী দাবি করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র হয়েছে, যা ইতিমধ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে। রাব্বানীর ভাষ্য, নেত্রীর কাছে কিছু বিষয় গিয়েছে, তিনি কষ্ট পেয়েছেন। সেই জায়গা থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নেত্রীর মনে কষ্ট দিয়ে আমরা ছাত্রলীগ করব না। এই জায়গা থেকে আমরা ছাত্রলীগের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। আমরা অপরাধী নই, আমাদের বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে, আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। পরিবারকে বাঁচাতে গিয়ে ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলাম।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ‘ঈদের খরচ’ হিসেবে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও গোলাম রাব্বানী ‘ন্যায্য পাওনা’ চেয়েছিলেন বলে যে বলা হচ্ছে তা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন রাব্বানী। তার কথাকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে দাবি করে রাব্বানী বলেন, ভিসি ছেলেপেলেদের যখন টাকা দিয়েছিলেন, তখন বলা হয়েছিল ঈদের বোনাস হিসেবে টাকাটা দেয়া হয়েছে। এটি আমাদের কানেও আসে। তখন আমি আর শোভন ম্যামের কাছে গিয়ে (ছাত্রলীগের পদচ্যুত সভাপতি) হাসতে হাসতে বললাম যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকে ঈদের খরচ দিলেন, আমাদের খরচ কই? বঙ্গবন্ধু যেমন বলেছিলেন, সাড়ে সাত কোটি কম্বল এল, আমার কম্বলটা গেল কই- সে রকমভাবেই কথাটা বলেছিলাম। এটা ছিল মজা করে বলা। আমার কথাকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে।

এদিকে ছাত্রলীগ থেকে বাদ পড়ার পর রাব্বানীকে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সদস্যপদ থেকে অপসারণ বা পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। ছাত্র ইউনিয়নসহ বাম ছাত্র সংগঠনগুলো সোমবার মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে রাব্বানীর অপসারণ দাবি করেছে। বাম সংগঠনের নেতারা বলছেন, চাঁদাবাজিতে অভিযুক্ত রাব্বানীর ডাকসুর পদে থাকার কোনো অধিকার নেই।

এদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে রাব্বানীর সঙ্গে ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট থেকে পদত্যাগ করেছেন। এর পর রাব্বানীর পদত্যাগের দাবি আরও জোরালো হয়। এ বিষয়ে সোমবার গোলাম রাব্বানী গণমাধ্যমকে বলেন, পদত্যাগ কেন করব? পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। ডাকসু বা সিনেট থেকে আমার পদত্যাগের দাবিটি খুবই খোঁড়া (লেইম)। এই দাবির ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন রাব্বানী।

শোভনের সিনেট সদস্যপদ থেকে পদত্যাগের বিষয়ে গোলাম রাব্বানী বলেন, শোভন ডাকসুতে নির্বাচিত ছিলেন না, ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমরা সম্মিলিতভাবে তাকে সিনেটে নিয়ে এসেছিলাম। নেত্রীর মনে কষ্ট দিয়ে তিনি অনুতপ্ত, তিনি নিজের জায়গা থেকে পদত্যাগ করেছেন। এর অর্থ কিন্তু এই নয় যে তিনি অন্যায় করেছেন। যেসব অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, একটিও প্রমাণ হয়নি, হবেও না। কারণ আমরা এ ধরনের কিছু করিনি। পত্রপত্রিকায় যা এসেছে, কোনোটিরই দালিলিক তথ্যপ্রমাণ নেই।

Check Also

দেশে এখন ভয়াবহ অবস্থা বিরাজমান: ডা. জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশে এখন ভয়াবহ অবস্থা বিরাজমান। কভিড-১৯ …