বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ভারতের বিভিন্ন এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
ভারতের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ‘ফণী’ ‘আইলা’র চেয়েও শক্তিশালী। ২০০৯ সালের ২৫ মে আছড়ে পড়েছিল ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আইলা। পশ্চিমবঙ্গে আইলার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। ফণীর গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারের ওপর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ বুধবার বিকেলে নিজের অবস্থান থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে সরে যেতে পারে ঘূর্ণিঘড় ফণী। পরে আগামী শুক্রবার সন্ধ্যায় সেটি উড়িষ্যা রাজ্যের গোপালপুর ও চান্দবালি উপকূল পার করে পুরিতে পৌঁছে যেতে পারে। এই ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানানো হয়।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ভারতের চার রাজ্য উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই চার রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘ফণী’র প্রভাব পড়তে পারে ভারতের কেরালা রাজ্যেও। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উড়িষ্যার গঞ্জাম, কুরদা, পুরি ও জগত সিংহপুর এলাকায় সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা দেড় মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
জেলেদের সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা এরইমধ্যে সমুদ্রে গেছেন, তাঁদের অবিলম্বে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হওয়ার শঙ্কায় এখন থেকেই ওই সব এলাকার ট্রেন অন্য রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আরো জানানো হয়, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় ফণী পশ্চিম মধ্য ও সংলগ্ন দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে। সেটি ক্রমশ উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]